রাজশাহীতে তিন সহদরের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১; সময়: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে তিন সহদরের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হামলার জেরে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গোদাগাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বৃহস্পতিবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোদাগাড়ী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইবনে খালিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলার সেখেরপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের তিন ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), ভাষানী ইসলাম ভাষা (৩৬) ও ওয়ায়েস আলমকে (৩২)।

মামরার এজাহারে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের কাজে বাধা দিয়ে তিন ভাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোদাগাড়ী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইবনে খালিদকে মারধর করেছেন। তবে আসামিরা বলছেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামি তিন ভাই জানান, সেখেরপাড়া গ্রামের উত্তর দিক দিয়ে গ্রামের পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। গত বুধবার তাদের প্রতিবেশী উজ্জ্বল, শাহীন রেজা, সাবু ও গাজুর বাড়ির পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের তার টেনে তাদের পুকুরের পাশে আনা হয়। এরপর পুকুরের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এজন্য তাদেরসহ আশপাশের আরও অনেকের গাছ ও ডালপালা কাটা হচ্ছিল।

তিন ভাই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। বিদ্যুতের কর্মীরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন। তখন গ্রামের আরও কয়েকজন ঘটনার প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মী ওয়ায়েস আলমকে চড় মারতে যান। ওয়ায়েস তা প্রতিহত করলে ধস্তাধস্তি হয়। আর এ নিয়েই পরদিন থানায় তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বলেন, জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হবে এটা আগে থেকে জানানো হয়নি। হুট করে বিদ্যুতের কর্মীরা আমাদের জমির গাছপালা ও ডাল কাটা শুরু করে। তারা পুকুরের ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন টেনেছেন। এর প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোদাগাড়ী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ইবনে খালিদ বলেন, তারা আমাকে মারধর করেছে। হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে গিয়েই মামলা করেছি। আর মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, সেটা তদন্তের জন্য থানার একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইনগত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে