জন্মের পর মারা গেল বাগমারার সেই বাকপ্রতিবন্ধী নারী সন্তান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমাারা : গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য মামলা করেছিলেন রাজশাহীর বাগমারার বাকপ্রতিবন্ধী এক নারী (৩০)। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠায়।
একপর্যায়ে নারীর গর্ভে থাকা সন্তানের পিতার স্বীকৃতি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে বিয়ে করেন। শুক্রবার দুপুরে ওই নারী সন্তান প্রসব করেন, কিন্তু সেই সন্তানকে বাঁচানো যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের বাক্প্রতিবন্ধী নারীর (৩০) সঙ্গে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির (৪৯) সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই নারীর পরিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিষয়টি জানায়। বিয়ে করে গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃপরিচয় দেওয়ার দাবি জানায় তারা।
তবে ওই ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করলে গত ১৫ আগস্ট প্রতিবন্ধী নারী গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি জানিয়ে বাগমারা থানায় মামলা করেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে, নারীর গর্ভে থাকা সন্তানকে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্তে জামিন পান অভিযুক্ত ব্যক্তি। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই ওই নারীকে বিয়ে করেন এবং স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানের স্বীকৃতিও দেন ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার দুপুরে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই নবজাতকটি মারা যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নবজাতকের অবস্থা ভালো ছিল না। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই মারা গেছে।
ওই নারীর এক স্বজন বলেন, যার পিতৃপরিচয় ও স্বীকৃতির দাবিতে মামলা করা হয়েছে, তাকেই বাঁচানো গেল না। তবে আইনের আশ্রয় নেওয়ায় সুফল পাওয়া গেছে। প্রশাসনের পদক্ষেপের কারণে বাক্প্রতিবন্ধী নারী সংসার করতে পারছেন।