রাজশাহীতে দুবার দল বদলে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১; সময়: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে দুবার দল বদলে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এ জন্য তিনি আওয়ামী লীগ থেকে ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হয়েছিলেন পরাজিত।

তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে দিয়ে আবার আওয়ামী লীগে ফিরেছেন। তবে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন করছেন।

এই প্রার্থীর নাম শরীফুল ইসলাম। ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁর প্রতীক মোটরসাইকেল। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশীদের কাছে ৩৫৪ ভোটে পরাজিত হন। ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত ‘হাতুড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তিনি।

অবশ্য সেই ভোটের ফল শরীফুল ইসলাম মেনে নেননি। তাঁর দাবি, তিনি ১৪ হাজার ৮০০ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। ওই ভোটের ফল বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনে। সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাও করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা করতে পারেননি। এবার তিনি পাঁচন্দর ইউপির প্রার্থী হলেন।

শরীফুল ইসলাম বলেন, তার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার রাজনীতিটা যাতে নিষ্কণ্টক হয়, সেই জন্য তিনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আশা ছেড়ে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করছেন। ইতিমধ্যে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টিও ছেড়ে দিয়েছেন।

শরীফুল বলেন, দলে থেকে তিনি তাঁর সমর্থকদের রক্ষা করতে পারছিলেন না। এ জন্য তিনি সশরীর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার কাছে গিয়েছিলেন। তিনি পরে কথা বলতে চেয়েছেন। তার দিক থেকে সাড়া না পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছেন। দলে ফিরলেও তিনি দলের মনোনয়ন চাননি।

তিনি বলেন, স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো নয়। তাঁকে মনোনয়ন দেবেন না, এটা তিনি জানেন। এ জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

শরীফুল ইসলামের ভাষ্য, তার দাদা ১০২ বছর আগে পঞ্চায়েত ছিলেন। তার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বড় ভাই এই ইউনিয়নের দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান ও পরে ইউনিয়নের অংশবিশেষ ও বাধাইড় ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে পৌরসভা হলে দুই মেয়াদের মেয়রসহ ২২ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলেন।

তিনি নিজে তানোরে যুবলীগ ও কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার ৪৬ বছরের রাজনৈতিক জীবন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি যে পরিমাণ ভোট পাবেন, নৌকা ও বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী মিলে সেই পরিমাণ ভোট পাবেন না।

পাঁচন্দর ইউনিয়নে ২২ হাজার ৬২ ভোটার। এবার এই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মতিন। এ ছাড়া ‘চশমা’ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম এবং ‘হাতুড়ি’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শিমুল রানা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে