বাঘায় তিন ইউপিতে চেয়ারম্যানের পদ আ’লীগের ২১ ও বিএনপির ৭ প্রার্থী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১; সময়: ৭:৫১ অপরাহ্ণ |
বাঘায় তিন ইউপিতে চেয়ারম্যানের পদ আ’লীগের ২১ ও বিএনপির ৭ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাঘা উপজেলা। এরমধ্যে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ৪ জুন। ইউনিয়ন ৩টি হলো-বাউসা,আড়ানি ও চকরাজাপুর। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচনে তফশিল ঘোষনার অপেক্ষায় এখন প্রহর গুনছে নির্বাচনে আগ্রহী

চেয়ারম্যান,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারি সদস্য ও সাধারন পদের প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগ দলীয় ২১ জন আর বিএনপির ৭জন। শোডাউন ছাড়াও এসব প্রার্থীরা নিজ নিজ ইউনিয়নের হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ,চায়ের দোকানে ও পাড়ায় পাড়ায় গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভোটারদের কাছে নিজেদের যোগ্যতা, উন্নয়নসহ নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ক্ষমতায় থেকে অতীতে কি কি উন্নয়ন করেছেন কিংবা করেননি,সে বিষয় নিয়েও আলোকপাত করছেন। এছাড়াও নেতাদের প্রিয়ভাজন হয়ে মন জয়ের চেষ্টায় চলছে লবিং গ্রুপিং। ভোটারদের জল্পনা-কল্পনা চলছে,কে হচ্ছেন আ’লীগ ও বিএনপি প্রার্থী। তাদের প্রত্যাশা সৎ যোগ্য নির্ভিক প্রার্থী। প্রার্থীরা জানিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত মেনেই নির্বাচন করবেন তারা।

আড়ানী ইউনিয়নে প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন ৭ জন । এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৪জন ও বিএনপি‘র ৩ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ সামরুল হোসেন ও সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম নান্টু।

বিএনপি‘র প্রার্থীরা হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি প্রভাষক নাসির উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন মাষ্টার ও সাবেক ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বাউসা ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী ১৫জন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের ১৩জন ও বিএনপি‘র ২ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ তুফান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন শেখ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ভুট্টু, কৃষকলীগ নেতা আলম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনসহ দলটির সমর্থিত কর্মী রেজাউল করিম নিজল, আবদুল করিম, আবদুল করিম(২), আনারুল ইসলাম।

বিএনপি‘র প্রার্থীরা হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী মলিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সাবেক বাউসা ইউনিয়ন বিএনপি‘র সভাপতি আনোয়ার হোসেন পলাশ। চকরাজাপুর ইউনিয়ন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন ৬ জন ।

আওয়ামী লীগের ৪জন ও বিএনপি‘র ২জন। তাঁর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুল আযম, চকরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডিএম মনোয়ার হোসেন দেওয়ান (বাবলু), সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান মাষ্টার। বিএনপির ২জন হলেন- চকরাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা দুলাল সরকার ও যুগলু শিকদার।

এছাড়াও ইউনিয়ন ৩টির, ২৭টি ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক সাধারণ সদস্য ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় গনসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বর্ধিত সভায় যারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন,তাদের তালিকা জেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তাঁর হয়ে কাজ করবেন।

উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক ফকরুল হাসান বাবলু বলেন, নির্বাচনে তারা দলীয় প্রার্থী দেবেন কি-না,সেটা নির্ভর করবে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক। এরপরেও যদি কেউ প্রার্থী হোন, তাঁর দায় দায়িত্ব তাঁকেই বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আশরাফ আলী মলিনকে পরাজিত করে বাউসা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। আড়ানিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী প্রভাষক রফিকুল ইসলাম আর পরাজিত হয়েছিলেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী নাসির উদ্দীন । চকরাজাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল আযমের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, আ’লীগ দলীয় প্রার্থী ডিএম মনোয়ার হোসেন দেওয়ান (বাবলু)।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে