ফের বাড়লো করোনায় মৃত্যু

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১; সময়: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ |
ফের বাড়লো করোনায় মৃত্যু

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৯১২ জনে। একই সময়ে নতুন এই রোগী শনাক্ত হয় ২২১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন।

শুক্রবার (১২ই নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৩৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ২৮২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে ১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ১১১ জন। আজ মারা যাওয়া পাঁচজনই পুরুষ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তারা। মৃত পাঁচজনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন এবং ৯০ বছরের বেশি বয়সি একজনের মৃত্যু হয়।

বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রামে দুজন এবং খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়। বাকি বিভাগগুলোতে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ই নভেম্বর) দেশে করোনায় একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিনি ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা। এদিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল আরও ২৩৭ জন। তবে এই মহামারি ভাইরাসে মৃত্যুশূন্য ছিলো ৭ বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।

এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে