‘স্কুল-কলেজের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১; সময়: ১:৩৩ অপরাহ্ণ |
‘স্কুল-কলেজের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। আর স্কুল-কলেজ মিলিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীকে। এ তথ্য জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া কর্মসূচি উদ্বোধন করে এ তথ্য জানান তিনি। বুধবার এই দুই কলেজের ৩ হাজার ২০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হচ্ছে।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, আমরা এমন আশা করছি না যে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে পারব। তবে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে যেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই টিকার আওতায় চলে আসে। গতকাল পর্যন্ত এর মধ্যে ২০টি জেলায় টিকাদান শুরু করেছি। আজকে আরও পাঁচটি জেলায় এই টিকাদান চলবে। এই সপ্তাহের মধ্যে ৪৭টি জেলায় আমাদের যে কেন্দ্র রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতে টিকাদান কাজ চালু করতে পারব বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মাধ্যমে টিকা নিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে পরবর্তীতে তাদের নিবন্ধন করতে হবে।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুনায়েদ আহমেদ বলেন, টিকা অভিভাবকেরা অনেক উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারণ সরকার একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত টিকাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই দিক থেকে তারাও আস্বস্ত হচ্ছে, আবার আমরাও আস্বত্ত হতে পারছি। কারণ শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণভাবেই টিকা নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে পারবে।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৭ হাজার ৯২৮ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৪৮ জনে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে