ব্যয় বাড়ল মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১; সময়: ৮:০০ অপরাহ্ণ |
ব্যয় বাড়ল মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এ বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করা হবে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বর্তমান সরকারের ৬৬ তম ও চলতি অর্থবছরের ষষ্ঠ সভায় ২৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার ১০ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে কক্সবাজার ও চট্রগ্রাম অঞ্চল ঘিরে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসাবে মাতারবাড়িতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০১৪ থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ এ শেষ হওয়া কথা ছিল।

তবে দেড় মাস পর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সংশোধনী এনে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৪৪ শতাংশ। পাশাপাশি মেয়াদও বেড়েছে ৩ বছর। নতুন এই অর্থের বেশিরভাগ ব্যয় করা হবে মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরকে গভীর সমুদ্রবন্দর হিসাবে ব্যবহার করার কাজে।

সোনাদিয়া পর্যটন কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যৎকেন্দ্রসহ ৩৭ টি প্রকল্পের জন্য আলাদা অথরিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে হাওরে উড়াল সড়ক করা হবে।

হাওর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হবে উড়াল সড়ক। এরজন্য ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয় করতে চায় সরকার। এই উড়াল সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ নেত্রকোনা অঞ্চলের গ্রামাঞ্চলে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হবে। এছাড়াও সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, নড়াইল শহরাংশের মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, আরিচা-দৌলতপুর-নাগপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরের পরিবর্তন করে ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তি বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার বা ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ, গড় আয়ুস্কাল ৭২ বছর এবং দারিদ্র্য ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়াও ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে