শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে: মেয়র লিটন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১; সময়: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ |
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে: মেয়র লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ৫০ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরাজিত পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। আমরা অর্জন করি চূড়ান্ত বিজয়।

দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ শুরু করেন। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তবে এর দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ সারাবিশে^র বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের আজ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। এই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। আমরা দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সারাবিশে^র মধ্যে ঈর্ষণীয় জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।

শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বিজয় শোভাযাত্রা শুরুর আগে সুসজ্জিত ট্রাকের উপর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজয় শোভাযাত্রার শুরুর পূর্বে এক সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সভার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সফিউল হক নাদেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের মধ্যে শেখ বজলুর রহমান, আবু আহমেদ মন্নাফী, হাবিব হাসান এমপি, হুমায়ুন কবির, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, নাজিম উদ্দিন, গোলাম আশরাফ তালুকদার, কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, আজিজুল হক রানা প্রমুখ।

শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বিজয় শোভযাত্রার উদ্বোধন করে বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অসাম্প্রদায়িক শক্তি থেমে নেই। তাদের রুখে দিতে সবাইকে এক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগ থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ, কৃষক লীগ থেকে শুরু করে দলের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি দেখা গেছে। একেক জনের গায়ে দেখা গেছে বিজয়ের সাঁজ। কেউ কেউ নিজেদের জড়িয়েছেন পতাকার আদলে তৈরি পোশাকে। এছাড়া মাথায় পতাকা ও বিজয়ের নানান চিহ্ন এঁকেছেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা। বিজয় শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে