স্বতন্ত্ররাই শক্ত অবস্থানে বাগমারার ইউপি ভোটে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২; সময়: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ |
স্বতন্ত্ররাই শক্ত অবস্থানে বাগমারার ইউপি ভোটে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৫ জানুয়ারি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে নির্বাচন। ভোটের শেষ সময়ে প্রার্থীরা ছুটছেন বাড়ি বাড়ি। চাইছেন ভোট। কোষছেন ভোটের হিসাব-নিকাশ। তবে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

রোববার উপজেলার হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া ও মাড়িয়া ইউনিয়নে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দম ফেলার ফুসরত নেয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। তাদরে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার দৃশ্য দেখা গেছে। আবার কার কি অবস্থা তা নিয়ে আলোচনা চলছে ভোটারদের মাঝেও।

উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন মহিলা লীগ নেত্রী সানোয়ার খাতুন। তবে এই ইউনিয়নে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহার এবার বিদ্রাহী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

আর এবারও বিদ্রোহী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। এছাড়াও এ ইউনিয়নে এবার প্রথমবারের মত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাগমারা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক রাশেদুল হক ফিরোজ। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। আর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল উদ্দিন শাহ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে।

আওয়ামী লীগের তিনজনসহ পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন কলেজ শিক্ষক রাশেদুল হক ফিরোজ। তার অবস্থান অন্যদের চেয়ে অনেকটাই ভালো জানালেন ভোটাররা।

এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৭ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৯ হাজার ২০ জন এবং মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৮৯৩ জন।

উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। তবে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও নৌকা প্রতীক হাত ছাড়া হয়ে যায় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম মাজেদুল ইসলাম সোহাগের। সেবার তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

এবারও তিনি নৌকা পেয়ে হারান। গত দুই দুইবার তৃণমুল আওয়াম লীগের মধ্যে দ্বন্দ্বে তার নৌকা প্রতীক হাত ছাড়া হয়েছে। তাই এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এবারও নৌকা চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে চসে ফিরছেন। সেই দিক থেকে নৌকা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাদশার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে দুই বিদ্রোহী। দুই প্রার্থীর শক্ত অবস্থানের কারণে তার জিত অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। এ অবস্থায় সুবিধাজনক অবস্থান নিয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন পর পর দুইবার নৌকা প্রতীক পেয়েও হাত ছাড়া হওয়া আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা মাজেদুল ইসলাম সোহাগ।

এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২ হাজার ৫২২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৩৫০ জন এবং মহিলা ভোটার ১১ হাজার ১৭২ জন।

এদিকে, মাড়িয়া ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম আলী আসকান।

এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় এমপির ছোট ভাই রেজাউল করিম। তিনি মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়াও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা আকবর আলী।

এই তিন প্রার্থীর মধ্যে এবার সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবার তার সঙ্গে রয়েছেন। গতবারও তিনি মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে