সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২; সময়: ৯:০৫ অপরাহ্ণ |
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ। শুদ্ধতম রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।

সোমবার সকালে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ও সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদ।

এদিকে, কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন। আজ সকালে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে স্থাপিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজলের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এছাড়া বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

জাতীয় চার নেতার সঙ্গে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান সৈয়দ আশরাফ। ব্রিটেনে প্রবাসজীবন কাটানোকালে সেখানকার লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন সৈয়দ আশরাফ। নব্বই দশকে শেখ হাসিনার আহ্বানে তিনি ব্রিটেনের প্রবাসজীবন ছেড়ে স্বদেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ওই বছর আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়। সেই সরকারে তিনি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলেও শপথ গ্রহণের আগেই তিনি মারা যান।

ওয়ান ইলেভেনের সময় দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখতে সৈয়দ আশরাফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওই সময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ২০০৯ সালের সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। পরে দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য নির্বাচিত হন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে