কেশরহাটে শীতের আমেজ, ফুটপাতের দোকানে বাড়ছে ভিড়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২২; সময়: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ |
কেশরহাটে শীতের আমেজ, ফুটপাতের দোকানে বাড়ছে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহনপুরে কেশরহাট বাজারে গার্মেন্টস দোকানের পাশাপাশি গরুহাটায় শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া শীতের বাহারি পোশাক বিক্রয় করে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন বিক্রেতাও।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতে মৌসুমকে ঘিরে কেশরহাট বাজারে ফুটপাত আকারে সারি সারি দোকানে শীতের পুরাতন পোশাক নিয়ে বসেছেন প্রায় ২০ জন বিক্রেতা। ফলে এখানে জমজমাট অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকান। কাঠের বড় সাইজের টেবিলের উপর সাজানো এই পোশাক গুলো দেখে দ্রুত পছন্দ করে নিতে পারছেন ক্রেতারা। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের মানুষেরা আসছেন এখানে কেনাকাটা করেতে, তারাও বেশ সন্তুষ্ট। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, টুপি, ফুলপ্যান্ট, সোয়েটার, কম্বল, হাতমোজাসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক কিনে ফিরছেন তারা।

এমনই এক স্বল্প আয়ের ক্রেতা আব্দুর রহিম পেশায় ভ্যান চালক। পরিবার নিয়ে থাকেন গ্রামের মাটির কুড়ে ঘরে। পরিবারের আবদার মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তার। এবার এসেছে শীত। সামর্থ্য না থাকলেও কিনতে হবে শীতের পোশাক। এসেছেন এবাজারে পোশাক নিতে। তিনি বলেন, সাধারণ পোশাক ছাড়া আমাদের শীতের গরম পোশাক পরার সামর্থ্য নেই। তাই পরিবারের ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য কম দামে শীতের গরম কাপড় কিনতে এখানে এসেছি।

এই ফুটপাতে বেশিরভাগ ক্রেতাই কম দামে কিনতে পেরাই খুশি। একাধিক ক্রেতারা বলেন, এখানে যে পোশাক গুলো আমরা কম দামে কিনছি, সেগুলো ছেঁড়া-ফাঁটা থাকেনা। অনেক সময় আমরা অল্প দামে অনেক দামি পুরাতন পোশাক কিনে মনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। সন্তানদের শীতের মনকাড়া এসকল পোশাক কিনে দিয়ে আনন্দ পায়।

শীত ঘনিয়ে আসায় বিক্রি বেড়ে চলা নিয়ে লোকমান, শহিদুল, রফিকুল ইসলাম নামের বিক্রেতারা বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক কম দামে মানুষ পাই, তাই কিনতে আসেন। আমরা অল্প লাভে শীতার্ত মানুষের মাঝে পোশাক বিক্রি করে থাকি। পোশাকের মান ও সুন্দর ধরনের পোশাক থাকায় মধ্যম আয়ের মানুষেরা এখানে প্রতিনিয়ত পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে