পুঠিয়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণে আতিক ছিল মাস্টার মাইন্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২; সময়: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণে আতিক ছিল মাস্টার মাইন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ায় ট্রাকের হেলপারকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের ঘটনার মূল হোতা (খল নায়ক) আতিকুল ইসলাম আতিকসহ পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড আতিক নিজেকে কখনো পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবার নানা ভুইফোঁড় পত্রিকার কথিত সাংবাদিক পরিচয় ক্রাইম প্রতিনিধি, দৈনিক দেশ সেবা পত্রিকা, দৈনিক আগামীর সংবাদ, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি বিডিদর্পন ২৪.কম।

আবার তার বিরুদ্ধে পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেবার ডজনখানেক অভিযোগ রয়েছে। অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসি। তবে পলাতক সকল আসামিদের আটকের চেষ্টায় পুঠিয়া পুলিশের সাড়াষি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জিউপাড়া ইউনিয়ন সৈয়দপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলাম ওরফে বেটারী আতিক। আতিক এক সময় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন, পরে নেশা দ্রব্য মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সেই থেকে আতিক নানা ধরণের ছোট-বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি আতিক কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিক পর্যবেক্ষক পাশও বাগিয়ে নেয়, এটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে দেখো দিয়েছিল অসন্তোষ। পরে যা নিয়ে প্রশাসনের মাঝে বিভাজনের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিউপাড়ার একাধিক ব্যক্তি বলেন, তার কাছে অনেক মানুষ জিম্মি ছিলো। পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে কখনো সাংবাদিক আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যার সাড়ে সাতটার দিকে ভুক্তভোগি ইসমাইল হোসেনকে তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৩টি মোটর সাইকেল যোগে ৫ জন ব্যাক্তি তাকে অপহরণ করে। এরপর অপহরণে অভিযুক্তরা পরের দিন ২৪ জানুয়ারী বিকেলে মুঠোফোনের মাধ্যমে তার পিতার নিকট দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। অপরদিকে, অপহরণের শিকার ইসমাইল হোসেন (২১) নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈইর গ্রামের মন্জুর রহমানের ছেলে এবং পেশায় ট্রাক হেলপার। এ ঘটনায় ইসমাইলের পিতা মজনুর রহমান বাদী হয়ে আতিকসহ ৪ জনের নামে পুঠিয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তহীন অবস্থায় রয়েছে, আসামিদের আটকের চেষ্টায় পুঠিয়া পুলিশের সাড়াষি অভিযান অব্যাহত।

এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করলেও আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বলেন, কলেজের ল্যাব কর্মচারীর এমন কর্মকান্ডের কথা শুনেছি। তার মাদক সেবন ও ব্যবসার জড়িত থাকার অপরাধে আমরা দ্রুত আতিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। আর এ বিষয়ে কলেজে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন আমাদের কাছে তথ্য নিয়েছেন।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে কোন সময় তাদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে