কচুয়ায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২; সময়: ৫:২০ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ায় কৃষকরা সর্জন পদ্ধিতে সবজি চাষাবাদ করতে আগ্রহী হচ্ছে । ফলে বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা পতিত জমিতে দু’পাশের পাড় বেধে সর্জন পদ্ধিতে সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলার নিচু জমিতে এই ধরনের পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া,করইশ,তুলপাই সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সর্জন পদ্ধিতে চাষাবাদ হচ্ছে।

জানা যায়, সব মাটিতে বা সব আবহাওয়ায় সব ধরনের চাষ কার্যকর নয়। বছরের বেশিরভাগ সময় জলাবদ্ধতা কিংবা নিচু অনাবাদী জমি এবং যেসব জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না কৃষকরা। তাই সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদে ঝুঁকেছেন তারা। এই সর্জন পদ্ধিতে প্রথমে জমি থেকে মাটি কেটে উঁচু করে চারদিকে পাড় বাঁধা হয়। মূল জমির মাঝে আবারো উচু করে পাড় বাধা হয়। পাড় গুলোতে সৃষ্ট নালা পুরো জমির সাথে যুক্ত থাকে ফলে পাড়ের ওপর বরবটি, শসা, করল্লা, লাউ, কুমড়া, ঝিঙা, পটল, শিম, পেপেসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়। চাষ করা যায় লেবু, আম, মাল্টাসহ নানাবিধ ফল। আর নালাতে পানি পর্যাপ্ততা অনুসারে চাষ করা যায় তেলাপিয়া, রুই, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়।

ঘাগড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রায় দেড় একর জমি নিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছি। এ পদ্ধতির ফলে একই জমিতে মিশ্র সবজি চাষ ও মাছ চাষাবাদ করা সম্ভব। বিভিন্ন জাতের মাল্টা,আমসহ নানাবিধ ফলের চারা রোপন করা হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক আয়ের কারণে কৃষকদের কাছে এ পদ্ধতি হয়ে ওঠে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলেও তারা জানান।
করইশ গ্রামের কৃষক হাফেজ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার নিচু জমি রয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারনে সবজিসহ অন্যান্য ফসলাদি চাষাবাদ করা সম্ভব নয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে নিচু জমিতে সর্জন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। আশাকরি এ পদ্ধতিতের মাধ্যমে আমি সফলতার মুখ দেখব।

তুলপাই গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আগে আমাদের ক্ষেতে তেমন কোনো ফলন হতো না। বর্তমানে সর্জন পদ্ধতি সবজি চাষ করছি। তাছাড়া পদ্ধতিতে খরচ কম।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোফায়েল হোসেন জানান, বর্তমানে সর্জন পদ্ধতিতে শশা, বরবটি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা’সহ উৎচফলনসিল সবজি উৎপাদন হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষীদের প্রশিক্ষণ, বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী স্থাপনে কৃষকদের কারিগরি প্রশিক্ষন এবং আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে