‘কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের জেরে সাফারি পার্কের জেব্রাগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২; সময়: ৭:১৬ অপরাহ্ণ |
‘কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের জেরে সাফারি পার্কের জেব্রাগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এখনো এর কারণ জানাতে পারেনি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ধারাবাহিকভাবে মারা যাচ্ছে জেব্রাগুলো। আজ রোববার পর্যন্ত মারা গেছে ১১টি জেব্রা।

পার্ক কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক দলের সমন্বয়ে নানাভাবে এ পার্কের বিদেশি প্রাণীগুলো রক্ষায় চেষ্টা করে গেলেও গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের দাবি এসব প্রাণীগুলো ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পার্ক পরিদর্শনে এসে এমপি এমন দাবি করেন।

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন আরও বলেন, এখানে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে, অবহেলা রয়েছে। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের বৃহত্তম এ সাফারি পার্ক নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি তার।

‘পার্কের ভেতর নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে একে অপরের প্রতি শত্রুতার জেরে প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একের পর এক প্রাণী মারা গেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে কর্মরতদের স্বপদে বহাল রেখে তদন্ত কমিটি থেকে কি ধরনের ফলাফল আসবে তা সহজেই অনুমেয়।’ তাই পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

এছাড়াও রোববার সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন জেব্রার মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘জেব্রার মৃত্যুরোধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। জেব্রাগুলোকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি খামার থেকে আনা হয়েছি। সেই খামারের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা।

রোগের বিস্তারিত লক্ষণ, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল ই-মেইলের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে।’ এছাড়াও তদন্ত কমিটি কাজ করছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত মিলিয়েই রিপোর্ট পেশ করা হবে। তবে এ বিষয়েই এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির বলেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চলতি মাসেই একটি বাঘ মারা যায়। পরে ধারাবাহিকভাবে জেব্রাগুলো মারা যায়।

জেব্রার মৃত্যু প্রতিরোধে জরুরি চিকিৎসা এবং এ ধরনের অসুস্থতার কারণ উদ্‌ঘাটনে ইতিপূর্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ২৫ ও ২৯ জানুয়ারি সাফারি পার্কে সভায় মিলিত হয়। ২৫ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ টিমের প্রদত্ত ১০ দফা সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করছে। স্থানীয় সাংসদের দাবির বিষয়ে সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘এটা আবেগের বশবর্তী হয়ে এমনটি বলেছেন।’

প্রসঙ্গত চলতি মাসে ধারাবাহিকভাবে প্রথম অবস্থায় ৯টি জেব্রার মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মারামারি করে ৪টি এবং ৫টি ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে মারা যাওয়ার কথা বলেছিল। পরে শনিবার সকাল ও বিকেলে আরও দুটি জেব্রা মারা যায়। বর্তমানে পার্কে জেব্রার সংখ্যা ১৮ টিতে দাঁড়াল। বর্তমানে পার্কে বাঘের সংখ্যা ১০টি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে