দুর্গাপুরে অর্থ দিতে না পারায় গোপনে নিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২; সময়: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ |
দুর্গাপুরে অর্থ দিতে না পারায় গোপনে নিয়োগের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হাট কানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে। এই প্রতিষ্ঠানে একজন করে নৈশ্য প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ ও আয়া নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিলো। বিজ্ঞপ্তি অনুসনারে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাংকের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে আবেদন কারীরা।

কিন্তু কয়েকজন আবেদন প্রার্থী অভিযোগ করে জানান, প্রথমে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য গত ২১ জানুয়ারি পত্রের মাধ্যমে ২৯ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টায় উপস্থিত হতে বলে। চাকরি প্রার্থীরা সকলেই উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষ হটাৎ সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে অন্য দিন পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান।

দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এখন  হটাৎ করে কর্তৃপক্ষ গোপনে নিয়োগের জন্য কার্যক্রম করছে।

আবেদন প্রার্থীদের মধ্যে কয়েক জনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তাদের পচ্ছন্দ মত গোপনে দিন ঠিক করে মিথ্যা স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে প্রথম দফায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, এরপর নিয়ম লঙ্ঘন করে কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এখন আবার টাকার বিনিময়ে নতুন ভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের কাউকে কাউকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে কয়েকজন ‘পছন্দের প্রার্থীকে’ এসব পদে নিয়োগ দিতে বিদ্যালয়েল কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা কমিটির  সভাপতি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে চাকরি প্রার্থীর কয়েকজন দাবি করেন, কাঙ্খিত অর্থ দিতে না পারায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যাদের নিয়োগ দেয়া হবে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাবে বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, আজ ৬ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুরে নিয়োগ বোর্ড বসবে। এখন যারা বিরোধিতা করছে তারা আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। তবে আমরা স্বচ্ছ ভাবেই নিয়োগ দিবো। অর্থ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি কয়েকজন প্রার্থীদের জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি সাহেব যে ভাবে নিয়োগ দেয় সে ভাবেই সবাইকে কাজ করতে হবে। নিয়োগের জন্য আমাকেও কিছু দিয়েন। নিয়োগ দিতে তো টাকা লাগে’ প্রতিষ্ঠানেও দিতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ভাই চা-টা খেতে তো কিছু দিতেই হয় না ?

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান,‘বিদ্যালয়ের নিয়োগের বিষয়ে একজন ফোন করেছিলো আমি লিখিত ভাবে জানাতে বলেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। এ নিয়োগের অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে