ব্যক্তিগত গাছ কাটতে লাগবে অনুমতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২; সময়: ৬:৪০ অপরাহ্ণ |
ব্যক্তিগত গাছ কাটতে লাগবে অনুমতি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এখন থেকে ব্যক্তিগত বা বাসা-বাড়িতে থাকা গাছ কাটতেও লাগবে সরকারের অনুমতি। এ বিধান রেখে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন এই আইনকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন পরিবেশবিদরা।

কখনো প্রকল্পের নামে, কখনো সৌর্ন্দয্যবর্ধনের নামে চলছে গাছ কাটা। গাছ কাটছে সরকারি প্রতিষ্ঠানও। এর মধ্যেই ব্যক্তিগত গাছ কাটতেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান রেখে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। আইনটির খসড়া অনুমোদনও করেছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানুষ যারা সাধারণ বাগান করবে, স্থায়ী যে গাছ লাগাবে, সেগুলো আর তারা তাদের ইচ্ছামত কাটতে পারবে না।

দেশের সব বনাঞ্চলকে সুরক্ষা দিতে এ আইন করা হচ্ছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক বনায়নের যেসব গাছ রয়েছে, সেগুলোও এর আওতায় আসবে। এখানে বুঝতে হবে, স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। লাউ গাছ কাটতে কোনো সমস্যা নাই।

এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেট থেকে বলা হয়েছে, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই আইনগুলোর কমপালশনগুলো বাস্তবায়নের আগে প্রোমশন ক্যাম্পেইন করে মানুষের দৃষ্টিতে আনতে হবে।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই আইনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এর প্রয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।

বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গাছ, স্থায়ী গাছ প্রধানত কাটেন সরকার, সরকারি সংস্থাগুলো এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী, যারা ভূমিদস্যু বা যারা শিল্পপতি আছেন। তাদেরকে যদি এ আইন টার্গেট করে থাকে তাহলে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব। কিন্তু পার্মিট প্রসেসে একটা সমস্যা হয়ে যায় যে, যেখানে পার্মিটের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ রেগুলেট করা, কিন্তু সেখানে রেগুলেট না হয়ে সেই পার্মিট আনতে ঘুষ দেয়া লাগে।

এই আইনের প্রয়োগে যাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি করা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে