বাঘা উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২; সময়: ৯:১১ অপরাহ্ণ |
বাঘা উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাঘা : দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় রডে ধরেছে মরিচা। বালির পরিবর্তে মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে বেডের আরসিসি ফিলিং। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। দরপত্রে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজের,কাজ কিছুই হয়নি। সিংহ ভাগ কাজ এখনও রয়ে গেছে।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুরাতন কেন্দ্রীয় মসজিদ ভেঙ্গে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর করা হয় ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে। কাজ শুরু হয় বছর খানেক আগে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর করার পর প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে গত বছরের জুন মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কাজ হয়েছে মাত্র গ্রেড বীমের নীচে। মডেল মসজিদের নির্মাণের দরপত্র আহবান করে রাজশাহী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ঠিকাদারী কাজ পায় পাবনার সাজিন এন্টারপ্রাইজ।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ জানান, গণপূর্ত বিভাগ থেকে ফান্ডে টাকা নেই বলে জানানোর পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় । প্রেড বীমের নীচ পর্ঙন্ত কাজ করেছেন কোটি টাকার উর্ধ্বে। বিল পেয়েছেন ৫০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট,ইনকাম ট্যাক্স জমানতসহ কর্তন করা হয়েছে সাড়ে ১৭%। কাজে ইনভেস্ট করেছেন প্রায় ৫ কোটি টাকা।

রাজশাহী গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহি প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান,বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দরপত্র আহ্বানের পর ঠিকাদারকে আমরা সাইড দিতে পারিনি। একসাথে অনেকগুলো মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করায় ফান্ডে টাকারও সমস্যা ছিল। যার কারণে দরপত্রে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এর ফলে নতুন ভাবে প্রসেস করে কাজ শুরু করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে বাঘা উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তিনি জানান, নির্মাণ কাজের অর্থায়ন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব কথা জানান, এই নির্বাহি প্রকৌশলী।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি পাপিয়া সুলতানা বলেন, এবিষয়ে তিনি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলছেন। তারা কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে।

রাজশাহী জেলা ইসলামিক ফাউনেন্ডশনের পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমেদ বলেন, সরকারের এত বড় মেগা প্রজেক্ট মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের দেখভাল করে গণপূর্ত বিভাগ। তারা তদারকি করেন। তাদের সাথে কথা বললে ভালো বলতে পারবেন। তবে আগে ফান্ডের সমস্যা থাকলেও এখন তা নেই।

তিনি জানান,উপজেলার জন্য ৩ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপেপ্লেক্সে বিভিন্ন সুবিধাসহ মডেল মসজিদগুলোয় দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তিনি আরও জানান,এখানে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা সুযোগ থাকবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে