বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যেন ইসিতে স্থান না পায়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২; সময়: ২:১৪ অপরাহ্ণ |
বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যেন ইসিতে স্থান না পায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যারা বিভিন্ন সরকারের সময় বিশেষভাবে সুবিধাভোগী ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তাদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছেন সুশীল সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরা। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তারা এ কথা জানান। এর আগে সকাল ১১টার পরে সার্চ কমিটির সঙ্গে তারা বৈঠকে বসেন।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, সবাই মোটামুটি এক বাক্যে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি যাদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে, তাদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট হতে হবে তিনি যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হয়। যে কোনো পেশা থেকেই আসতে পারে।

তিনি সরকারি আমলা হোক বা যে কোনো পেশার হোক। তাদের দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানতে পারি তাদের ব্যক্তি চরিত্র, তাদের সততা এবং বাংলাদেশে আজ অর্থের প্রতি মোহ মানুষের অনেক। সেই মোহ যেন তাদের না থাকে।

মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমি একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি, কোনো দলীয় সরকারের সময়ে; বর্তমান সরকার হোক বা আগের দলীয় সরকার হোক, সে সময় বিশেষভাবে সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায়। এই দাবিটা আরও অনেকে সমর্থন করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা প্রত্যেকে আলাদা করে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। বেশির ভাগ মানুষ বলেছি, যারা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পাবে তারা যেন আগের কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হয়।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে, চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কোনো কোনো সরকার তাদের বিশ্বস্ত লোকদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। এ ধরনের লোক যেন নির্বাচন কমিশনে না আসে যারা অবসর গ্রহণের পর রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা যেন কোনোভাবেই না আসে, যাদের সঙ্গে সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক আছে।

এর সঙ্গে আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনে যারা আসবেন তাদের যেন অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন করার মানসিকতা, সাহসিকতা ও ব্যক্তিত্ব থাকে। সব নাম যেন আগে থেকেই প্রকাশ করা হয়। কমিটি যদি ৩০ জনের নাম প্রকাশ করে, কারো ব্যাপারে যদি দেখা যায় তিনি কোনো দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন বা সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় কোনো একটি টক শোতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক দলের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছে তাহলে জনগণ জানাতে পারবে যাতে তাদের বাদ দেওয়া হয়।

আমাদের মনে হয়েছে, সার্চ কমিটি মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছে। কিন্তু কতটুকু রাখবে সেটা নাম প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারবো। আমরা কোনো ধরনের নাম দিইনি। আমরা শুধু বলেছি, কীসের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত-কীসের ভিত্তিতে না নেওয়া উচিত, বলেন আসিফ নজরুল।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা এখন খুবই ক্রাইসিস মোমেন্টে আছে। তাই কমিশনের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে আস্থা ফিরিয়ে আনার। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে যেন সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্ব আগামীতে কায়েম হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে আফিস নজরুল বলেন, আগের অনুসন্ধান কমিটি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল, তারা কী করেছেন আপনারা দেখেছেন। তাই এখানে শতভাগ আস্থা রাখার জায়গা নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে