আরএমপির ওয়াকিটকি কান্ডে ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদ, রিমান্ডে ২

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২; সময়: ১১:১৮ অপরাহ্ণ |
আরএমপির ওয়াকিটকি কান্ডে ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদ, রিমান্ডে ২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ওয়াকিটকি সেট দুই ছিনতাইকারীর কাছে পাওয়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। সোমবার তদন্ত কমিটি বোয়ালিয়া থানার সাবেক ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এ দিন বোয়ালিয়া থানার চার ওয়ারেলস অপারেটরকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের টেলিকম বিভাগের একজন উপমহাপরিদর্শকও (ডিআইজি) ঘটনা তদন্তে রাজশাহী আসছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, যে দুই ছিনতাইকারীর কাছে পুলিশের ওয়াকিটকি সেট পাওয়া গিয়েছিল, তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর সোমবারই দুই ছিনতাইকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বোয়ালিয়া মডেল থানার সাবেক ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মনকে আরএমপির সদর দপ্তরে তিন ঘন্টব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির ডাকে তিনি খাগড়াছড়ির বর্তমান কর্মস্থল থেকে রাজশাহী এসেছিলেন। সম্প্রতি ওসি নিবারনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) বদলি করা হয়।

এদিকে বদলির আগে বোয়ালিয়া থানার ওয়্যারলেস অপারেটর কনস্টেবল আবদুল আউয়াল, আমান উল্লাহ, কামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলামকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তারা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, থানায় একটি ওয়াকিটকি কম থাকার বিষয়ে সাবেক ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন জানতেন। এ নিয়ে তিনি থানায় কোন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে দেননি।

গত ২৯ জানুয়ারি শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে ছিনতাইয়ের সময় গ্রেপ্তার হন মাভেল ইসলাম (২৪) ও নেহাল ইসলাম ওরফে নিরো (২২) নামের দুই ব্যক্তি। সম্পর্কে এরা দুই ভাই। সেদিন তাদের কাছে একটি ওয়াকিটকি সেট পাওয়া যায়। এই ওয়াকিটকি সেটটি বোয়ালিয়া থানা পুলিশেরই।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াকিটকিটি তাদের কাছে ছিল। তারা এতে কান পেতে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন শুনতে পেতেন। এই ওয়াকিটকি সেট তাদের কাছে কীভাবে গেল তা এক রহস্য।

এই ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার হলে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক অতিরিক্ত কমিশনার মজিদ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার মজিদ আলী বলেন, তদন্ত হচ্ছে। এখনই এসব নিয়ে কিছু বলা উচিত হবে না। তদন্ত শেষ হোক। তারপরই সব জানতে পারবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে