পুঠিয়ায় ক্ষমতার দাপটে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২; সময়: ১২:৩১ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ায় ক্ষমতার দাপটে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ার কান্দ্রা গ্রামে রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পরও আবার কাজ শুরু করলেও সেখানেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও  মেম্বার সহ এলাকাবাসীর জোর প্রাতিবাদের পরও উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঠিকাদার নিজ ক্ষমতায় নিম্নমানের ইট, বালির পরিবর্তে মাটি ও বালি ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার কাজ পাওয়া ঠিকাদার হলো চারঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন।

ঠিকাদার ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় দাপটের সাথে রাস্তায় অনিয়ম ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসীর। এসব অনিয়মের কাজের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া ইউনিয়নের মধ্যে কান্দ্রা গ্রাম থেকে জেকেরের মোড়ের দিকে ১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে ৭১ লক্ষ টাকার টেন্ডার প্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার ঠিকাদার মামুন সেখানে কাজ শুরু করেন।

ইতিমধ্যে দুইবার কাজে অনিয়মের কারণে ঠিকাদার মামুনকে ইতিমধ্যে নিম্নমানের জিনিসপত্র অপসরনের চিঠি দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী। তারপরেও সেই নির্দেশনা না মেনেই অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যেমে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে চারঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ঠিকাদার মাহমুদুল হাসান মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কান্দ্রা মধ্যে পাড়ায় একমাস পূর্বে থেকে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজ শুরু থেকে রাস্তায় বালির পরিবর্তে বেডে মাটি ব্যবহার এবং নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে কাজ করে। এরমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের খবর প্রকাশিত হওয়ায় কয়েকদিনের জন্য কাজ বন্ধ ছিলো। আবার দুই দিন থেকে পুনরায় কাজ শুরু করলেও সেই নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করে কাজ করছে। কিন্তু কাজ শুরু থেকে এই পর্যন্ত ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী বা সহকারী প্রকৌশলীকে এই রাস্তায় আসতে দেখা যায়নি। তাবে রাস্তায় অনিয়মের কাজের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

পুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন জানান, সেই রাস্তায় অনিয়মের কাজ হচ্ছে বিষয়টি এলাকাবাসী আমাকে জানানোর পর আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আফরিন রহমান জানান, আমি পরিদর্শন করেছি। তেমন নিম্নমানের কোথাও ইট পাইনি। তবে রাস্তার ধারে যে মাটি রাখা ছিল বৃষ্টির করণে সেই মাটি কেটে রাস্তার উপর আশায় বালির সাথে মাটি মিশে গেছে। ঠিকাদারকে বলেছি, সেই বালি গুলো সরিয়ে ফেলতে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে