বঙ্গবন্ধু
ভরা যৌবন কাটে যার কারাগারে-
বহমান পদ্মা-মেঘনা-গঙ্গা-যমুনার
ধারা বহে জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে।
শুধু ভাবনা, কামনা, বাসনা একটায়-
বাংলা ও বাঙ্গালীর মুক্তি, নিজেদের
পতাকা, মানচিত্র-স্বাধীনতা।
রাজভয় ভর করেছে পাকিস্তানীর
ভাষা বিজয় থেকে-একটু ছুতোই
আটক-গ্রেপ্তার, মামলা-হামলা-
টার্গেটই শেখ মুজিব।
গভীরতা পরিমাপ সম্ভব সমুদ্র-
মহাসমুদ্রের, পাকিস্তানী হায়েনার
পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না-
বাংলা ও বাঙ্গালী শেখ মুজিব নিরিখে।
জ্বলনে পুড়োনে বাঙ্গালী, পিছে
ফেরার পথ রুদ্ধ, সামনে শুধু
স্বাধীনতা-এরই মধ্যে জেনে
গেছে, কৃষক-মজুর-ছাত্র-জনতা;
শেখ মুজিবই শতভাগ বঙ্গের বন্ধু।
জাতি জেনেছে, প্রমাণ পেয়েছে-
ভরসা মুক্তিতে নিখাদ মানুষ মুজিব,
মুজিব বন্দনায় বঙ্গের মানষপটে-
স্পষ্ট সাক্ষী হয়, শহীদের রক্তে
যার খন্ডিত হৃৎপিন্ড-নিঃশ্বাসে।
পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান একই
ধর্মের অনুসারী, তবুও বিদ্বেষ-
সাম্প্রদায়িকতার যোজন দুরে।
ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতার দংশন-
ছোবলে জর্জরিত বাংলা, বিষাক্ত
নিঃশ্বাস হায়েনার।
দেশের মানুষের মুক্তিতে বারে বারে
যেতে হয় কারাভোগে-তবুও অনড়
সত্যেই যার ভর, সেইতো পথিক-
শেখ মুজিব।
বাংলার একমাত্র নিবেদিত বন্ধু
বঙ্গবন্ধু-এ খেতাব মর্যাদার-
এ উপাধি সত্যের, কোটি কোটি
বাঙ্গালীর প্রতিক।
১৯৬৯‘র ২৩ ফেব্রুয়ারী, কারামুক্ত
শেখ মুজিব-ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ,
বঙ্গ প্রদীপের খেতাব সমাবেশ-
সেদিনের টগবগে তোফায়েলের
ঘোষণা।
বাংলাদেশের রুপকার-
শেখ মুজিবই ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধির
একমাত্র অধিকারি। সে থেকে
মুজিবই ‘বঙ্গবন্ধু’ আমাদের।
লেখক-
মাহবুব দুলাল
সাংবাদিক, কবি ও কলামিস্ট