কচুয়ায় সম্ভবনাময়ী চীনাবাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২; সময়: ২:২৮ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় সম্ভবনাময়ী চীনাবাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,কচুয়া (চাঁদপুর) : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহয়তায় কয়েকবছর ধরেই উন্নত মানের চীনাবাদাম চাষ হচ্ছে।

চাহিদা থাকায় কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১০০ টাকা হতে ১২০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। তাতে লাভবান হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী বাদাম চাষে। বিশেষ করে কচুয়াতে আলু এবং ভুট্টার জমিতে বাদাম করতে পারলে বেশি লাভ হবে বলে জানান কৃষকরা।

কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের ছফিউল্লাহ জানান,কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমলচন্দ্র সরকারের উৎসাহে প্রথম বারের মতো বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। জমির অবস্থা এখন বেশ ভালো আশাকরি ফলন পর্যাপ্ত হবে।

উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের কৃষক অঙ্গরাজ সরকার বলেন, চীনা বাদামের অনেক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমি দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, বছরের যেকোনো সময় এর চাষ করা যায়। তবে রবি মৌসুমে মধ্য অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এবং খরিফ মৌসুমে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যন্ত বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

ভালো বাদামের ফলন পেতে বিঘা প্রতি অন্যান্য সারের পাশাপাশি ৩০-৩৫ কেজি জিপসাম সারের প্রয়োগ করতে হবে। কচুয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই মূহুর্তে বারি চীনা বাদাম ৫, ৬, বিনা চীনাবাদাম-৪ নিয়ে কাজ করছে, গতবছর খুবই সন্তোষজনক ফলন এসেছে। বিঘাপ্রতি ফলন ৮-১০ মন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, চিনা বাদামের ফুল মাটির উপরে ফুটলেও গর্ভাশয়ের নীচের যে বৃন্তটি শুঁটি গঠন করে,সেটি মাটির নীচে চলে যায় এবং সেখানে পুষ্ট হয়ে বাদামে পরিণত হয়।

এই কারণে ভাল নিকাশি ব্যবস্থা আছে এমন হাল্কা, ঝুরঝুরে দোঁয়াশ মাটিতে বাদাম চাষ করা উচিত। ফলে চিনা বাদাম চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে