গুরুদাসপুরে কুল চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে আইয়ুব আলীর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২; সময়: ২:৫৭ অপরাহ্ণ |
গুরুদাসপুরে কুল চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে আইয়ুব আলীর

নিজস্ব প্রতিবেদক,গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে ভিন্নজাতের কুল চাষে করে আইয়ুব আলীর ভাগ্য বদলে গেছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আনা নতুন জাতের বেবি সুন্দরী, কাশমেরি সুন্দরী, বল সুন্দরী ও চায়না আপেল নামের কুল বরই চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছেন। এই সব বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে ভাল লাভবান হয়েছেন।

সরোজমিনে দেখাযায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলীর বাগানে ভিন্ন জাতের ৪টি কুল বরই চাষ করেছেন। বাগানে গাছের থোকায় থোকায় ধরেছে সুন্দর সুমিষ্ট কুল বরই। নুইয়ে পড়েছে কুল গাছের মাথা।

ভিন্ন জাতের কুল বরই গাছ দেখতে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা আইয়ুব আলী বাগানে প্রতিদিন ভিড় করছে। এই কুল বরই দেখে কৃষক নাজমুল হক, লিটন আলী, সাদ্দাম হোসেন, জহির আলীসহ অনেক চাষীদের আগ্রহ বেড়েছে ভিন্নজাতের কুল বরই চাষ করার। প্রতি মন এই কুল বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা।

বেবি ও বল সুন্দরী বড়ইগুলো দেখতে আপেলের মত, দুই সাইড বসা, একটি কুলের ওজন ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম। কাশমেরি সুন্দরী কুলের ওজন ৯০ থেকে ১১০ গ্রাম এবং চাইনা সুন্দরী দেখতে কিছুটা লম্বা আপেলের মত একটি কুলের ওজন ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম। কুল বরইয়ের ফলন ও ভাল দাম পেয়ে খুশি হয়েছেন চাষি আইয়ুব আলী।

কুলচাষি মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রজাতির কুল বরই আছে। এজন্য আমি ২০২০ সালের জুলাই মাসে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ভিন্ন জাতের বেবি সুন্দরী,কাশমেরি সুন্দরী, বল সুন্দরী ও চায়না আপেল জাতের তিনফিট সাইজের ছোট ছোট কুলের চারা সংগ্রহ করে আমার চার বিঘা জমিতে রোপন করি। সাত মাসে খরচ হয়েছে দুই লক্ষ টাকা।

প্রতিটি গাছে ভাল ফলন হয়েছে। এই কুল বরইগুলো দেখতে সুন্দর ও সু মিষ্টি। বিক্রি করেছি প্রায় চার লাখ টাকা। এখনো কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার কুল বড়ই বিক্রি হবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনর রশিদ বলেন, গুরুদাসপুরের মাটি ও আবহাওয়া অনুুকুলে থাকায় প্রথম বছর আইয়ুব আলীর বাগানে কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে।

নতুন জাতের কুলের স্বাদ ও মিষ্টতা এবং ভাল ফলন হওয়ায় এলাকার চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে। কারন দেশী কুলের তুলনায় অল্প সময়ে স্বল্প খরচে এ কুল উৎপাদন হয়। যার কারনে বেশী-লাভবান হচ্ছে চাষী।

তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছে। কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে এই ভিন্ন জাতের কুলের চাষ সম্প্রসারিত হবে।

বাগানেই কলম তৈরি করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফলে এ কুল চাষ বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে