ধরা ছোঁয়ার বাইরে চারঘাটের সেই মাদক সিন্ডিকেটের হোতা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২; সময়: ৯:১৬ অপরাহ্ণ |
ধরা ছোঁয়ার বাইরে চারঘাটের সেই মাদক সিন্ডিকেটের হোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে চারঘাটে মাদক ব্যবসা সিন্ডিকেটের মুল হোতা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কথিত সোর্স সাব্বির ও তার সহোযোগীরা। গত শুক্রবার রাতে চারঘাট থানা পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারিসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। তবে কথিত সোর্স ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত দুই দিন আগে সাব্বিরের নেতৃত্বে তার সহোযোগী আতিক ও ইউনুসের প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রির করছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গনমাধ্যমেও। কিন্তুু কথিত সোর্স সাব্বির এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না চারঘাট থানা পুলিশ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত পুলিশ ও র‌্যাবের কথিত সোর্স পরিচয়দিয়ে চারঘাট উপজেলা জুড়ে গড়ে তুলেছেন এক শক্ত মাদক সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক সাব্বির। এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন কুর্কমের মুল হোতা গ্রাম শিবপুর এলাকার সাব্বির।

প্রশাসনের কথিত সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। এছাড়া তার মাদক ব্যববসার অন্যতম সহযোগী আতিক ও ইউনুসের বিরুদ্ধে রয়েছে ৫ থেকে ৭ টা মাদক মামলা। এতো কিছুর পরেও তাকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ এলাকাবাসীরা।

অভিযোগ উঠেছে, চারঘাট থানার এক উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে সাথে গোপনে সখ্যতা রয়েছে সাব্বিরের। এ কারনেই এতো কিছুর পরেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না থানা পুলিশ। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

উল্লেখিত, গত ২১ তারিখ তাঁতারপুর গ্রামের মাদক সম্রাট মনোয়ারের দুই ছেলে কামাল ও কফিল কে হেরোইন ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। ফলে তাঁতারপুর গ্রামে মাদক বিক্রির স্পট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তুু কথিত সোর্স সাব্বির সেখানে ফের মাদক ব্যবসা চালু করে তার ২ সহোযোগী আতিক ও ইউনুসকে দিয়ে। সাব্বিরের নেতৃত্বে তাঁতারপুর গ্রামে হেরোইন বিক্রি ও সেবনের একটি ভিডিও ব্যপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে, উপজেলার শলুয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড কে মাদক মুক্ত ঘোষনা করেন ইউপি সদস্য সাহাবুর রহমান। ওয়ার্ড বাসী ইউপি সদস্যর নির্দেশে সাব্বিরের ওই মাদক স্পটে বাধা দিলে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয় সাব্বির। এ ঘটনার পরেও সাব্বির গ্রেপ্তার না হওয়ার কারনে হতাশ জনপ্রতিনিধিরাও।

ইউপি সদস্য সাহাবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে ওয়ার্ড মাদক মুক্ত হবে এ ঘোষনা দিয়েছি। এটা আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিও। তাদের মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে বাধা দেয়া মনে হচ্ছে কাল হয়ে গেছে আমার। ষড়যন্ত্র চলছে আমাকেই মাদক দিয়ে ফাঁসানোর। এতো কিছুর পরে প্রশাসন সাব্বিরকে গ্রেপ্তার না করায় হতাশ আমরা। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয় চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রশাসনের কথিত সোর্স সাব্বির ও তার সহোযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মাদক বিক্রির যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সে বিষয় তদন্ত করে দেখছি আমরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে