রাবির ফিশারিজ বিভাগে ফের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিশারিজ বিভাগের এক শিক্ষকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেশ না যেতেই একই বিভাগের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজেশনের নামে চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বেই এক কোর্সের প্রশ্নপত্র অনলাইন ক্লাসে কিছু শিক্ষার্থীর কাছে শেয়ার করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন। তিনি ওই কোর্সের একজন প্রশ্নকর্তা এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, নিয়মিত ক্লাস না করিয়ে নামমাত্র অনলাইন ক্লাসে অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন নিজের গ্রুপের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভালো নম্বর পাইয়ে দেবার জন্য এফএমএমও ৬৪৫ কোর্সের একটি নমুনা প্রশ্নপত্র গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ছাত্রছাত্রীদের সাথে শেয়ার করেন। যা চূড়ান্ত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রায় মিলে গেছে।
এরইমধ্যে এই পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আজ সোমবার দুপুরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করেছেন একই বিভাগের শিক্ষক ও অনুষদ অধিকর্তা অধ্যাপক মো. ইসতিয়াক হোসাইন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভাগের সভাপতির গাফিলতি আছে। নাহলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না। এর পেছনে কোনো দূরভিসন্ধিও থাকতে পারে। অভিযোগ খতিয়ে দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মঞ্জুর আলম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও অবগত না।’
জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আবেদন প্রসেস করে বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে দেওয়া হবে। তারপর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘প্রথমত যে প্রশ্নগুলোর স্ক্রিনশট প্রচার করা হয়েছে, আমি সেগুলো পড়াই না। আর এটি ২০১৮ সালের জুন মাসের প্রশ্নপত্র। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের ধারণা নিতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমি পূর্বের বছরের প্রশ্ন থেকে তাদের ধারণা দিয়েছি। পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সুনাম নষ্টের জন্য এমনটা করা হয়েছে।’