১৩ বছরে দেশে ৭৩ ধানের জাত উদ্ভাবন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : উচ্চ ফলনশীল (উফশী) এসব জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আউশের বিনা ধান ২১, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৩, ব্রি ধান ৮৫, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি হাইব্রিড ধান ৭।
এছাড়া আমনের বিনা ধান ২২, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৩, ব্রি ধান ৯৪ ও ব্রি ধান ৯৫ এবং বোরোর বিনা ধান ২৪, বিনা ধান ২৫, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান ৮৬, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান ১০১ ও ব্রি ধান ১০২।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি আমদানিনির্ভরতা কমাতে উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ব্রি ধান ৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান ১০১ এবং ব্রি ধান ১০২ সর্বস্তরে উৎপাদনে উৎসাহিত করার সুপারিশ করেছে। কমিটি তৈল বীজ ও আউশের বিভিন্ন ভ্যারাইটি উৎপাদন ও গবেষণার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে নতুন ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া এবং কম খরচে বেশি উৎপাদন সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা দেওয়ার সুপারিশও করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তৈল বীজ ইত্যাদি দেশি ফসলের উদ্ভাবিত বীজ সব কৃষককে উৎপাদনে উৎসাহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও হোসনে আরা অংশ নেন।