রাজশাহী নগরে ফের দখলে ফুটপাত

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২২; সময়: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী নগরে ফের দখলে ফুটপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ফের অবৈধ দখলে চলে গেছে ফুটপাত। প্রশস্ত সড়কের দুই ধারে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত নির্মিত হলেও সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করছে হকাররা। অন্যদিকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সড়কে রাখা অবৈধ নির্মাণসামগ্রী অপসারণ ও জড়িতদের জেল-জরিমানা করা হয়। তবে ফুটপাত ও সড়ক দখলকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সচরাচর অভিযান হয় না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। আবার কখনো কখনো অভিযান হলেও কিছুক্ষণ পরেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আবারও অবৈধ দখলে চলে যায় ফুটপাত।

উল্লেখ্য, গত ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা উপলক্ষ্যে কয়েক দিন অবৈধ দখলমুক্ত ছিল মহানগরীর অধিকাংশ ফুটপাত ও সড়ক। ফলে রাজশাহী মহানগরী আরো ঝকঝকে-তকতকে হয়ে উঠেছিল। যা ভারতীয় অতিথিদের নজর এড়ায়নি। তারা রাজশাহী মহানগরীর সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেন। কিন্তু সাংস্কৃতিক মিলনমেলা শেষ না হতেই ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবারও অবৈধ দখলদাররা জেঁকে বসে ফুটপাত ও সংলগ্ন সড়কে।

গত দুদিনে মহানগরী ঘুরে দেখা যায়-লক্ষ্মীপুর, সিঅ্যান্ডবি, ভদ্রা, তালাইমারী, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ঘোষপাড়া, রেলগেট, নিউমার্কেট, অলকার মোড়, রাণীবাজার, উপশহর নিউ মার্কেট, রেল স্টেশন, পুরাতন ঢাকা বাসটার্মিনাল, সেরিকালচার কারখানার বাউন্ডারি-সংলগ্ন ফুটপাত, মণিচত্বর, সাহেববাজার, গণকপাড়া, কুমারপাড়া, সোনাদীঘির মোড়, রাজশাহী কলেজের সামনের এলাকা এমনকি খোদ নগর ভবনের সামনের ফুটপাত আবারও অবৈধ দখলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

শুধু দখল নয়, রীতিমতো অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে ব্যবসা চলছে। এছাড়াও ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গাড়ি পার্কিং বাড়তি দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। কোনো ধরনে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব দোকানপাট ও যানবাহন ফুটপাত দখল করে রাখছে। আর এসব ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সের লাখো মানুষ চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

জনস্বার্থে নানা কথাবার্তা বলা হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। সকাল ৮টা থেকেই সাহেববাজার, গণকপাড়া, অলকার মোড়, নিউমার্কেট, রেলগেট, লক্ষ্মীপুর ও সন্ধ্যার পর সিঅ্যান্ডবি মোড়ের সার্কিট হাউসের সড়কের হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। মনে হয়, যেনো গ্রামীণ হাট-বাজার। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত উল্লিখিত এলাকায় শুধু অবৈধ দখলই নয়, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও রিকশা পার্কিংয়ের কারণে মূলসড়ক সংকীর্ণ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

বৃহত্তম সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ফুটপাত ও সংলগ্ন সড়ক দখলমুক্ত রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সবাই সচেতন হলেই ফুটপাত দখলমুক্ত হবে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন, দিন দিন শহরে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। মানুষ এখনো আইনের প্রতি তেমন শ্রদ্ধাশীল নয়। ফলে একাধিক বার অভিযান ও জেল-জরিমানা করলেও তারা আইন মানছে না। আর যারা এসব করছে তারা মানুষের সমস্যার কথা ভাবে না। এটাই বড় সমস্যা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে