আলু যাচ্ছে রাশিয়ায়

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২; সময়: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ |
আলু যাচ্ছে রাশিয়ায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অবশেষে ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রাশিয়ায় আলু রফতানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দেশটিতে আলু রফতানি করেছিল বাংলাদেশ।

গত সোমবার ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুদিন আগে দেশটির ফেডারেল সার্ভিস ফর ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফাইটোস্যানিটারি সার্ভিলেন্স বাংলাদেশ থেকে আলু আমাদনির আগের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের যে কোনো এলাকা থেকে আলু আমদানির ওপর পূর্বের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে পুনরায় তা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রুশ দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশের উদ্ভিদের কোয়ারেন্টাইন ও সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের তথ্যের ‍ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। এতে রাশিয়া ও ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের ‘ফাইটোস্যানিটারি’ বিষয়ক শর্তভঙ্গ না করার বিষয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে চলা আলোচনা ও দেনদরবারের মধ্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চলার মধ্যে বাংলাদেশি আলু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল রাশিয়া।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশে ১ কোটি ১৩ লাখ টন আলুর উৎপাদন হয়েছে। পাশাপাশি দেশের আলুর চাহিদা ছিল ৭৭ লাখ টন।

বাংলাদেশ সাধারণত মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, হংকং, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, তুরস্ক, আজারবাইজান, ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়ায় আলু রফতানি করে থাকে।

রাশিয়া কেবল বাংলাদেশ নয়, বসনিয়া থেকে নাশপাতি, চীন থেকে বাদাম, মলদোভা ও সার্বিয়া থেকে বোন অ্যান্ড সিড ফ্রুটস এবং আজারবাইজান থেকে আপেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সবশেষ রাশিয়ায় গিয়েছিল ২০ হাজার টন বাংলাদেশি আলু। তবে আলুতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়া।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে