পশ্চিম রেলে চরম কোচ সংকট

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২২; সময়: ২:৫০ অপরাহ্ণ |
পশ্চিম রেলে চরম কোচ সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেনটির নাম কমিউটার। চলাচল করে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী হয়ে রহনপুর রেলরুটে। দশটা বগি বা কোচ নিয়ে ট্রেনটির যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ছয়টি কোচ নিয়ে চলাচল করছে। প্রত্যেকটি বগিতে উপচে পড়া ভিড়। এই ট্রেনে বর্তমানে চারটি কোচ সংকট।

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর সিল্ক সিটি, বনলতাসহ চারটি ট্রেনে শুরুতে ১৫টি করে কোচ ছিল। বর্তমানে কোচের সংখ্যা কমেছে তিনটি। একইভাবে সাগরদাঁড়ি ট্রেনে ১১টির স্থানে ৮টি, তিতুমীর ট্রেনে ১৩টির স্থানে ৯টি, মধুমতি, কপোতাক্ষ, বাংলাবান্ধা, টুংগীপাড়া, ঢালারচর ও উত্তরাসহ প্রায় সকল ট্রেন চলাচল করছে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম বগি নিয়ে। অথচ যাত্রী চাপ অসহনীয়। টিকিট কাটার প্রচণ্ড আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পেয়ে অনেকে টিকিটবিহীন ট্রেনে চড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

এ সব তথ্য জানিয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টার পর রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ তার নিজস্ব ফেসবুক পেয়ে দেয়া পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এসব ট্রেনের অধিকাংশ কোচ সংস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে। সংস্কারের জন্য পাঠানোর পর সেই কোচ ফিরতে মাসের পর মাস কেটে যায়।

সাংবাদিক ছোটন আরও বলেন, সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে মাত্র ২৭ শতাংশ কর্মচারী কর্মরত। অন্যরা অবসরে গেছেন। সে কারণে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ নামমাত্র প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন বগি ঢুকলে তা কবে বের হবে সেটার নিশ্চয়তা দেবার কেউ নেই।

রেল কর্মকর্তাদের অনেকেই রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের চেয়ে নতুন কেনাকাটার জন্য ব্যতিব্যস্ত। সে কারণে ওয়ার্কশপগুলো অযত্ন-অবহেলায় মুমূর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। লোকবল নিয়োগ ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে ওয়ার্কসপগুলো কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে বগি ও ইঞ্জিন সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত হবে।

অথচ এক শ্রেণীর কর্মকর্তা এ ব্যাপারটি উপেক্ষা করে নতুন কোচ কেনার প্রতি অধিক আগ্রহী। স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টসম্যান, গেট ম্যান, লোকো মাস্টারসহ জরুরী সার্ভিসের অনেক পদ শূন্য থাকলেও সেগুলো পূরণের তেমন কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে জানান এই সিনিয়র সাংবাদিক।

সাংবাদিক ছোটনের ট্রেনের কোচ সংকট নিয়ে ফেসবুক পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। আমানুল্লাহ আল মাসুদ নামের এক ব্যক্তি লিখিছেন, কমিউটারে ব্যাপক যাত্রী হয়। কিন্তু এর আগে ১০টি থাকলেও বেশীরভাগ সময় ৮টি বগি নিয়ে চলাচল করতো। কিছুদিন থেকে মাত্র ৬টি (তার মধ্যে একটি অর্ধেক, পাওয়ার কার) নিয়ে চলাচল করছে। এতে আমাদের এই রুটের যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই ট্রেনে আরও দুইটি বগি সংযোগ করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানন তিনি।

খায়রুল আলম নামের আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, কমিউটার ট্রেনটি রাজশাহী থেকে যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আবার রহনপুর থেকে ছেড়ে আসার সময়ও যাত্রী পরিপূর্ণ হয়। সে ক্ষেত্রে ট্রেনটিতে অবশ্যই চাহিদা মোতাবেক বগি সংযোজন করা উচিত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে