কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদের পিয়ন

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২২; সময়: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ |
কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদের পিয়ন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পিয়ন হলেও পরিচয় দেয় ক্ষমতাধর কর্মকর্তা। ইস্যু করেছে ভুয়া বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের ভাতার কার্ড। টাকার বিনিময়ে সরকারি ভাতার হুবহু বইও সরবরাহ করেছে।

দুই শতাধিক গরিব মানুষের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুর ইসলাম ও তার সহযোগী মুক্তি বেগম। তার এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এখন অসহায় এ হতদরিদ্র মানুষ।

সদরের লক্ষ্মীপুর, বোয়ালী ও মালিবাড়ি ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দিয়েছে সদর উপজেলা পরিষদের পিয়ন নুর ইসলাম ও তার সহযোগী মুক্তি বেগম। কার্ড পেলেও ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে তারা জানতে পারেন কার্ডগুলো ভুয়া।

এরপর থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে প্রতিকারের আশায় ধরনা দিচ্ছেন অসহায় মানুষজন। তাদের অভিযোগ, ভাতার কার্ড ও ঘর দেওয়ার নামে নুর ইসলাম ও তার সহযোগী মুক্তি বেগম সদরের লক্ষ্মীপুর বোয়ালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।

ভুক্তভোগীদের ভয়ে গাঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত পিয়ন নুর ইসলাম। একটি পাড়া থেকেই তিন লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করে মুক্তি বেগম। নুর ইসলামের সরবরাহকৃত কার্ডগুলো ভুয়া বলে দাবি করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন শাহ্।

আর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর রাফিউল আলম।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের মাস্টাররোল কর্মচারী নুর ইসলামের বাড়ি শহরের বাংলাবাজার এলাকায়। আর সহযোগী মুক্তি বেগম থাকে পুলিশ-লাইন বোর্ডবাজারে

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে