বাঘায় আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২২; সময়: ৮:১৭ অপরাহ্ণ |
বাঘায় আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : সাত বছর পর,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঘা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সাধারন সম্পাদক পদে আশরাফুল ইসলাম বাবুল।

সোমবার (২১-০৩-২০২২) শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি।

বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজশাহী জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রী অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা (সাবেক এমপি),যুগ্ন সাধাারন সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু প্রমুখ। এর আগে সকাল ১১ টায় সম্মেলন শুরু হওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে পরে আবারো সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। একটিতে আ’লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুল বাদি হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামী করেছেন। অপর মামলাটি দায়ের করেছেন পুলিশ বাদি হয়ে । এ মামলায় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি সম্পদ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ জনকে। দু’টি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীকে। মামলায় শাওন নামের ১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাওন হোসেন উপজেলার জোতকাদিরপুর গ্রামের খোস মোহাম্মদ খসুর ছেলে।

দু’দফায় সংঘর্ষে ৪ পুলিশ ও ১ নারিসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৬ জন রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভতি হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ১১ টায় সম্মেলন শুরু হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহন করেন। পরে কোরআন তেলায়াত,গীতা পাঠ ও নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এর পর পরই সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করে আক্কাছ আলী ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে মঞ্চের উপরে চেয়ার ছুড়ে মেরে সম্মেলন পন্ড করার চেষ্টা করেন। তাদের প্রতিহত করতে গেলে সঘর্ষে রুপ নেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী বলেন, সম্মেলনে আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের সামনে এগিয়ে যায়। আমাকে কোন সম্মান না করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লোকজন বাধা দেন। এতে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সম্মেলন স্থল থেকে চলে আসার পরে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ আমার লোকজনকে মারধর করেছে। আমিও আইনী ব্যবস্থা নিব।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ১৫/২০ রাউন্ড টিয়ার সেল ছোঁড়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়। পরে পন্ডিতপাড়া মোড় এলাকায় আক্কাছ আলীর সমর্থকরা টহল দেওয়া পুলিশের পিকআপ গাড়ী ভাংচুর করে। দু’টি মামলা হযেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে