শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাবে : হানিফ

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২; সময়: ২:০৩ অপরাহ্ণ |
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাবে : হানিফ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো সুযোগ পেলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশকে গড়ার জন্য জাতির পিতা যখন কাজ শুরু করেছিলেন তখন থেকেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি কনভেনশন হলে দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং কৃত্রিম উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিকারী সিন্ডিকেটের শাস্তির দাবিতে এক সুধী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কারো দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ’৫২র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬র ছয় দফা ঘোষণা, ’৬৯র গণআন্দোলন এবং ’৭০ এর নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট পাওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানকিভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন। সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন ৭ই মার্চ।

তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না বিএনপি। যার কারণে প্রেসক্লাবের সামনে মির্জা ফখরুলরা প্রতিদিন ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তারা বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে নাকি মেগা দুর্নীতি হচ্ছে।

এসব বলার কারণ তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। ক্ষমতায় থাকতে একটা ভালো কাজ করতে পারেনি। হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন করে তারা লুটপাট আর মানুষ খুন করেছে। এছাড়া আর কিছু করতে পারেনি।

তিনি বলেন,রাজনীতিবিদদের গুণ হচ্ছে দেশের জন্য কাজ করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা। দেশের মানুষের ক্ষতি করে এমন কোনো কাজ সুস্থ মাথার নেতৃত্ব করতে পারে না। খালেদা জিয়া দেশের গার্মেন্টস খাতকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছেন। গার্মেন্টস শিল্পের জিএসপি প্রত্যাহার করার জন্য আমেরিকাতে চিঠি লিখেছেন।

সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ১০ বছরে জিনিসপত্রের দাম ১২৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদশের মানুষের আয় যখন ৬০০ ডলার ছিল। এখন মাথাপিছু আয় ২৬০০ ডলার। আগে দৈনিক ১০০ টাকা মজুরি ছিল।

এখন ৫০০ টাকার নিচে দৈনিক মজুরি নেই। তিন কেজি চালের দাম দেড়শো টাকা হয়। তেল, লবণ, ডাল কিনেও ১০০ টাকা থাকে। মানুষ ৪০০ টাকার মধ্যে তিন বেলা মুরগির মাংস দিয়ে পেটভরে খেতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুঃস্থ ভাতা দিয়ে গ্রাম বাংলার অসহায় মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির আমলে বিদেশিরা তাচ্ছিল্য করে বলতো, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে চলে গেছে। আর এখন জিজ্ঞাসা করে কীভাবে এত সীমিত সম্পদ নিয়ে এত উন্নয়ন হয়েছে।

‘আমাদের লক্ষ্য একটাই, জাতির পিতা আমাদেরকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত আত্মমর্যাদাশীল দেশ গড়ার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে, মোকাবিলা করেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব,’ তিনি বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সুধী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ১০ আসনের এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, জমিয়াতুস সাহাবা মাদরাসার প্রিন্সিপাল রুহুল আমীন খান ও উজানী মাদরাসার শিক্ষা সচিব আবদুর রহমান প্রমুখ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে