তাপমাত্রার রাশ না টানলে বাঁচবে কি পৃথিবী?

প্রকাশিত: ২৩-০৩-২০২২, সময়: ১৪:৫৫ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বজুড়েই আবহওয়ার বিরুপ আচরণ। ঋতু বদলে যাওয়ার পাশাপাশি অসময়ে ঝড়-জলোচ্ছাস-অতিবৃষ্টিতে হচ্ছে ফসলহানি। বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ করা না গেলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, উপকূলবর্তী বিশাল এলাকা ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়বে লবনাক্ততা। এখনই নজর না দিলে চরম মূল্য দিতে হবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবাদীরা।

অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি আবার কখনো খরা। আবার প্রতি বছরই বদলাচ্ছে ঋতু। দিন দিন আবহাওয়ার খেয়াল খুশি আচরণ।

অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ, বন উজাড়, অপরিকল্পিতি নগরায়নসহ নানা কারণেই উষ্ণতা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বাড়ছে গড় তাপমাত্রা। লবনাক্ত হচ্ছে উপকূল। আর এর প্রভাব পড়ছে কৃষিতেও।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, “এই যে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেছে এই সময়, এটা একটা অস্বাভাবিক তাপমাত্রা। কিছুদিন পর দেখবেন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে গেছে।”

এবিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র মহাসচিব শরিফ জামিল বলেন, “তিস্তাতেও তো জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে উজানে গাছ কমে গেছে, পানি কম আসছে। এ কারণে নদীন স্ট্রাকচার বদলে যাচ্ছে, একারণে বন্যা হচ্ছে।”

শুধু স্থলভাগের আবহাওয়াই নয়, বদল হচ্ছে সমূদ্র আবহাওয়াও। আর সে কারণেই অসময়ে ঝড় জলোচ্ছাস বৃদ্ধি পাওয়াসহ বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ ও তান্ডব।

এবিষয়ে আজিজুর রহমান বলেন, “গরমকালে সূর্য দক্ষিণে চলে যায়, ফলে সূর্যের তাপমাত্রাও সাগরের দিকে বেশি থাকে। এ অবস্থায় সাগরের তাপমাত্রা যখনই ২৭ ডিগ্রি বা তার ইপরে চলে যায়, তখনই ঘূর্ণিঝড় হয়।”

আর শরিফ জামিল বলেন, “গত ৩০ বছরে যে পরিমাণ সাইক্লোন হয়েছে তার আগের ৫০ বছরেও ওই পরিমাণ সাইক্লোন হয়নাই। বিগত সময়ে সাইক্লোনের ধ্বংসের মাত্রা অর্থাৎ গতিবেগ তা আগের সাইক্লোনের তুলনায় বেশি।”

আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব থেকে বাঁচতে বেশি করে বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি টেকসই পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

উপরে