রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ধীরগতি

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২; সময়: ১:২৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, কাজের ধীরগতির কারণে প্রকল্প ব্যয় কয়েক কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক বলছেন, ডিজাইন-ড্রয়িংয়ে, কনসালট্যান্টরা অনেক সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া করোনা মহামারিতে কাজ বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ রাবির ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৩৬৩ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। প্রকল্পের আওতায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল, ১০ তলা ভবনবিশিষ্ট শিক্ষক কোয়ার্টার, ২০ তলা একাডেমিক ভবন, ড্রেন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা হয়।

পরে বাজেট সংশোধিত হয়ে ২০১৯ সালে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। অথচ কাজ শেষ হয়েছে ৩০-৩৫ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শেখ রাসেল স্কুল, চারুকলা বিল্ডিং, কৃষি ভবন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের কাজ এখনো এক-তৃতীয়াংশ শেষ হয়নি। মাত্র মাটির নিচের কাজ শেষ হয়েছে।

এদিকে, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। মাঝে মাঝে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ থাকছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, রডের দাম ‍বৃদ্ধি, পাথর সংকটসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পুরোদমে কাজ চালিয়ে নেওয়া তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন এমন একজন ঠিকাদার বলেন, ‘নির্মাণকাজ শুরুর দিকে রডের কেজি ছিল ৭০-৭৫ টাকা। কিন্তু বর্তমানে ৭৮ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচ। বেড়েছ পাথরের দামও। এ অবস্থায় কাজ চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় বড় অঙ্কের লোকসানে মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঠিকাদারেরা। সম্প্রতি তাঁরা প্রকল্প পরিচালক বরাবর চিঠি দিয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রথম দফায় এই প্রকল্পের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে কাজ শেষ করা সম্ভব ছিল না। পরে কনসালট্যান্টদের সঙ্গে কথা বলে নতুন বাজেট দিতে হয়েছে।

এ ছাড়া ডিজাইন-ড্রয়িংয়েও কিছু সময় লেগেছে। করোনা মহামারির শুরু দিকে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। এতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে।’

কাজের ধীরগতি ও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে প্রকৌশলী খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘বাজারে কাঁচামালের সংকট রয়েছে। তবে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে কাজ যেন নিজস্ব গতিতে চলে। তবে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটি সরকারের হাতে।’ সূত্র- আজকের কাগজ

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে