শেকৃবিতে বরাদ্দের খাবার নিম্নমানের, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২২; সময়: ৩:২৯ অপরাহ্ণ |
শেকৃবিতে বরাদ্দের খাবার নিম্নমানের, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দের খাবার নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীদের বরাদ্দের খাবার ছাত্রনেতাদের হল প্রতি ১৫০-২০০ প্যাকেট ফ্রি দেওয়া, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া সব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর চেয়েও বেশি খাবার রান্না করেও অনেক শিক্ষার্থীকে টোকেন না দিয়ে ফেরত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

হাসান নামে নজরুল ইসলাম হলের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমার সমস্যা থাকার কারণে সন্ধ্যার দিকে টিকেট কাটতে গেলে প্রভোস্ট বলেন, খাবার শেষ হয়ে গেছে। তাহলে সব শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ খাবারের চেয়েও অতিরিক্ত খাবার ছিল; এতো খাবার গেল কোথায়?

পিকআপে করে সাধারণ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা খাবার কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রনেতাদের প্রতি হল থেকে ১৫০-২০০ প্যাকেট ফ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া হলের সাবেক প্রভোস্ট, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হল থেকে খাবার দেওয়া হয়। এটা অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের টাকায় অতিরিক্ত খাবার বানিয়ে আমাদের নিম্নমানের পরিবেশন করে তারা কেন ফ্রি খাবেন? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে ক্ষুব্ধ হয়ে লেখনির মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শেখ হাসিনা হলের মারিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, খেতে বসে দেখি খাসির মাংস গন্ধ হয়ে গেছে। অনেক হলেই সবজি দিয়েছে, আমাদের হলে দেয়নি। কমলা দেয়নি অথচ আমরাও তো সবার সমান টাকাই দিই।

আলামিন নামে আরেক ছাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, প্রতি প্যাকেট খাবারের মূল্য ৩৭৫ টাকা করে রাখা হলেও এর বাজার মূল্য ২০০ টাকারও হবে না। যা বরাদ্দ করা খাবারের মূল্য থেকে ১৭৫ টাকা কম।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের আবাসিক ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অর্থ উপসম্পাদক পান্থ বলেন, ছাত্রদের টাকায় কেনা টোকেনে তাদের সৌজন্য সংখ্যা বেশি।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা হল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বরের ফিস্টে শতাধিক প্যাকেট খাবার গোপনে কয়েকজনকে দেওয়া হয়। প্রভোস্ট ড. সিরাজুল ইসলাম খানের কাছে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ ব্যপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।

এদিকে এ ব্যাপারে জানতে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে কল দেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে