সীমান্ত বিরোধে মিলল সমাধান

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২২; সময়: ৪:০০ অপরাহ্ণ |
সীমান্ত বিরোধে মিলল সমাধান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজ্য গঠনের ৫০ বছর পরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত বিরোধে সমাধান মিলেছে।

রিঅর্গানাইজড অ্যাক্টের আওতায় ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি ভারতের আসাম রাজ্য ভেঙে তৈরি হয় মেঘালয় রাজ্য। যে রাজ্যের সীমান্তে একদিকে আসাম অন্যদিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-মেঘালয় সীমান্তে কোনো বিরোধ না থাকলেও মেঘালয়-আসাম সীমান্তে বিরোধ রয়েছে। দুই রাজ্যের ৮৮৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে ১২ টির বেশি স্থানে সীমান্ত বিরোধ দেখা দেয়।

শুধু মেঘালয় নয় ভারতের উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম রাজ্য আসামের সাথে স্বাধীনতার পর থেকেই সীমান্ত বিরোধ রয়েছে পার্শ্ববর্তী নাগাল্যান্ড, মনিপুর,মিজোরামের।

মেঘালয় অসম সীমান্তের আপার তারাবাড়ি, গজং রিজাভ ফরেস্ট, হাহিম, লাংপিঃ, বর্দুয়ার, বকলাপাড়া, নংওহ, মাতামুর, খানাপারা-পিলাংকাটা, দেশ ডিমুরা ব্লক ১ ও ব্লক ২, খানডুলি এবং রীতাছাড়া- এই ১২ টি স্থানে বিরোধ ছিল দুই রাজ্যের।

এইসব এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল দুর্গম পাহাড়ি এসব এলাকায় সীমান্ত বিরোধ মেটাতে উদ্যোগী নয় দুই রাজ্যের কোনো সরকার।

ফলে পাহাড়ি এসব অঞ্চলে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীরা সরকারি পরিচয় পত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদিও দুই রাজ্যে সরকারেরই দাবি একাধিকবার এসব অঞ্চলে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করা হলেও সমাধান মেলেনি।

গতবছর জুলাই মাসে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর নেতৃত্বে আলোচনায় বসেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। দুই রাজ্যের তরফে নিয়োগ করা হয় আলাদা আলাদা রাজ্য ভিত্তিক কমিটি।

যে কমিটির সদস্যরা যৌথভাবে বিরোধপূর্ণ এসব এলাকা ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। যে রিপোর্টকে ভিত্তি করে গত জানুয়ারি মাস থেকে ফের দফায় দফায় দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে ৫০ বছরের সীমান্ত বিরোধ অবসানের ঘোষণা দেয় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দুই রাজ্য সরকারের সম্মতি মিললেও সংবিধান মেনে আগামী বর্ষাকালীন অধিবেশনে দুই রাজ্যের বিধানসভায় রাজ্যের নতুন সীমান্ত রেখা পাশ করতে হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে হবে ভারতের লোকসভায়। ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩ অনুযায়ী সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে লোকসভায় দুই রাজ্যের নতুন সীমান্ত অনুমোদন পেলে তবেই স্বীকৃত হবে দুই রাজ্যের নতুন সীমানা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে