বৃহস্পতির ‘যমজের’ সন্ধান

প্রকাশিত: ০৫-০৪-২০২২, সময়: ০০:১২ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নতুন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এটি প্রায় হুবহু বৃহস্পতি গ্রহের মতো। ভরও প্রায় সমান। তাই বিজ্ঞানীরা এটিকে বৃহস্পতির ‘যমজ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি পৃথিবী থেকে ১৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরের একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার ‘কেপলার’ স্যাটেলাইট টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য গবেষণা করে নতুন এই গ্রহটির সন্ধান পেয়েছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল। ২০১৬ সালে তথ্যগুলো পাঠিয়েছিল কেপলার।

এখন পর্যন্ত মিল্কিওয়ে (আকাশগঙ্গা) ছায়াপথে ২ হাজার ৭০০টির বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে টেলিস্কোপটি। তবে এখন পর্যন্ত কেপলারের পাঠানো তথ্য থেকে যেসব গ্রহ আবিষ্কার করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে দূরের।

বৃহস্পতির সঙ্গে বিভিন্ন দিক দিয়ে মিল পাওয়া গ্রহটির নাম রাখা হয়েছে ‘কে২-২০১৬-বিজিএল-০০০৫এলবি’। এর ভর বৃহস্পতির তুলনায় খুব বেশি নয়, মাত্র ১ দশমিক ১ গুণ। আর যে নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহটি আবর্তিত হচ্ছে, সেটির ভর সূর্যের প্রায় ৬০ শতাংশ।

অবাক করার মতো মিল আরও রয়েছে। সূর্য থেকে বৃহস্পতির অবস্থান ৪৬ কোটি ২০ লাখ মাইল দূরে। অপর দিকে কে২-২০১৬-বিজিএল-০০০৫এলবি যে নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করে, সেটি থেকে এর দূরত্ব ৪২ কোটি মাইল।

নতুন গ্রহটির সন্ধানে আইনস্টাইনের বিখ্যাত তত্ত্ব ‘আপেক্ষিক তত্ত্ব’ ও ‘গ্রাভিটেশনাল মাইক্রোলেন্সিং’ নামের পদ্ধতির সহায়তা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে গবেষণাটি লন্ডনভিত্তিক জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক সংস্থা রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাময়িকী মান্থলি নোটিশেস-এ প্রকাশের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে।

গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র ডেভিড স্পেচট। মাইক্রোলেন্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রহটির সন্ধানে ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত কেপলারের পাঠানো তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। এ সময় আমাদের ছায়াপথের কোটি কোটি নক্ষত্রের ওপর নজর রাখছিল টেলিস্কোপটি।

কেপলারের সক্ষমতার প্রশংসা করে যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটিজ কাউন্সিল’ এর কর্মকর্তা এইমন কেরিনস বলেন, মাইক্রোলেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রহ আবিষ্কারের জন্য কেপলার নকশা করা হয়নি। তারপর টেলিস্কোপটির মাধ্যমে এমনটি করা গেছে। বিষয়টি অসাধারণ।

উপরে