দ্বিতীয় পৃথিবীর সন্ধানে মাঠে নামছেন চীনা বিজ্ঞানীরা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অসীম মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো জীবন উপযোগী গ্রহের সংখ্যা মানুষের অজানা। আধুনিক বিজ্ঞান এগিয়ে গেলেও, এখনো কোনো বিকল্প পৃথিবীর সন্ধান পায়নি মানুষ।
তবে বসে নেই বিজ্ঞানিরাও। দেশে দেশে চলছে গবেষণা। পৃথিবীর মতো ভৌগলিক পরিস্থিতি ও জলবায়ু রয়েছে এমন একটি গ্রহের সন্ধানে এবার মাঠে নেমেছেন একদল চীনা বিজ্ঞানী। মানুষের বসবাসের জন্য একটি বিকল্প গ্রহ খুঁজতে একাধিক পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
বিজ্ঞানভিত্তিক বিখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী নেচার জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্স ইতিমধ্যেই “আর্থ টু পয়েন্ট ও” নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আগামী জুনের আগেই চীনা বিশেষজ্ঞদের একটি দল পরিকল্পনাটি পর্যালোচনা করবেন। একবার এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই তহবিল সংগ্রহের কাজে হাত দেবেন বিজ্ঞানীরা। প্রথম ধাপে একটি স্যাটেলাইট তৈরি করা হবে।
নেচারের প্রতিবেদন বলছে, ওই স্যাটেলাইটে সাতটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হবে। যা পুরো আকাশ স্ক্যান করবে এবং বিকল্প গ্রহগুলোকে চিহ্নিত করবে। এটি নাসার কেপলার অভিযানের মতোই প্রকল্প।
“আর্থ টু পয়েন্ট ও” এর প্রধান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিয়ান জি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেপলার থেকে পাওয়া অনেক তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তবে আমাদের স্যাটেলাইটটি ক্ষমতায় নাসার কেপলার টেলিস্কোপের চেয়ে এক হাজার ১৫ গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনের এসব টেলিস্কোপ একটি নক্ষত্রের উজ্জ্বলতায় সামান্য পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারবে। এমনকি কোনো নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যদি ছোট আকৃতির কোনো গ্রহ চলাচল করে, সেটিকেও শনাক্ত করতে পারবে এসব টেলিস্কোপ।
এই সাতটি টেলিস্কোপের মধ্যে ছয়টি টেলিস্কোপের কাজ হবে, আকাশের ৫০০ বর্গ ডিগ্রি অঞ্চল জুড়ে প্রায় ১২ লাখ নক্ষত্রকে অধ্যয়ন করা। এর ফলে নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) এর মাধ্যমে যতটা দূরের নক্ষত্র দেখা যায় তার চেয়েও বেশি দূরের নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
আর সপ্তম টেলিস্কোপেটি একটি মহাকর্ষীয় মাইক্রোলেনসিং টেলিস্কোপ, যা নক্ষত্র থেকে অনেক দূরে অবস্থান করা গ্রহগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
জিয়ান জি বলেন, এই প্রকল্পের ফলে আমাদের হাতে অনেক তথ্য আসবে। এই প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভালো একটি সুযোগ। চীনা বিজ্ঞানীদের আশা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অন্তত এক ডজন বিকল্প পৃথিবী গ্রহ খুঁজে পাবেন তারা।