তিন যুগ পর আবার বাকৃবিতে থামবে ট্রেন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেলওয়ে প্লাটফর্মে আবার ট্রেন থামবে। ১৯৮৭ সালে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রায় তিন যুগ বন্ধ ছিল বাকৃবির রেলওয়ে স্টেশন।
শনিবার পুনরায় নতুন করে প্লাটফর্ম নির্মাণ করে রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে বাকৃবিতে পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের (ইস্ট) জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্লাটফর্মের নকশা এবং বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করার জন্য তিনি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশ থেকে আসা প্রায় সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। এছাড়া ক্যাম্পাসের পাশেই রয়েছে কয়েকটি গ্রাম।
যেখানে বসবাস করেন প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেশন থাকলেও ট্রেন না থামায় শিক্ষার্থীদের চাকরি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে ট্রেনে যাতায়ত করতে শহরের স্টেশনে যেতে হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রেলস্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ রেলের জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্যম্পাসে পরিদর্শনে এসেছেন।
ডিজাইনসহ সব বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই আমাদের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ সবাই এখান থেকেই আন্তঃনগর ট্রেনসহ সকল ট্রেনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন।
একটি শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর পর্যন্ত চলার বিষয়েও মন্ত্রী মহাদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি সেটিও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলস্টেশনটি চালু হলে সবার ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে। ময়মনসিংহ জেলার সঙ্গে আশপাশের জেলার সড়ক ব্যবস্থা বেহালের কারণে রেলপথই এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীসহ সবার পছন্দ রেলপথ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন টিকিট চেকার (টিটি) উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিনের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
ঘটনার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি নিহত হন। এরপর ৩৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে সারা দেশে রেলস্টেশনগুলো। পরে বাকি সব রেলস্টেশন চালু হলেও বন্ধ থাকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রেলস্টেশনটি।