কচুয়ায় শত্রুতার জেরে হামলা, আহত ১২

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২২; সময়: ১:১৬ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় শত্রুতার জেরে হামলা, আহত ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক,কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ার গুলবাহার গ্রামে বিগত ৫ জানুয়ারির ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতার জের ধরে হামলায় অন্তত ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে গুলবাহার-তুলপাই সড়কের গুলবাহার বেপারী বাড়ির সামনে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনার মুল ইন্ধনদাতা গুলবাহার গ্রামের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ইরানী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ ।

হামলায় আহতরা হচ্ছে, গুলবাহার গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে,আব্দুর রাজ্জাক (৩৫),কবির হোসেন (৩৮),লিটন (৪৫),মৃত. আবু মিয়ার ছেলে শরীফ উদ্দিন (২০), লিটন মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২২),স্বপন মজুমদারের ছেলে রাসেল মজুমদার (১৯),কবির হোসেনের ছেলে আজাদ (২০),আবু কালামের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৬),ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে মহিবুল ইসলাম (২১),নুরে আলমের ছেলে তৌহিদ (১৫) প্রমুখ। আহতরা বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ও কবির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলার শিকার আহত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে-ই আলম রিহাতের সাব্বির নামের এক কর্মীকে সাকিব ও আকিব মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরবতীতে শুক্রবার বেপারী বাড়ির পাশ দিয়ে আসার পথে ইরানী বেগম,মোতালেব,আকিব ও তানজিলের নেতৃত্বে ১৫/২০জন উশৃঙ্খল লোকজন মরিচার গুড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম জানান,আকানিয়া গ্রামের আকিব দেবীপুর গ্রামের তানজিল ও বেপারী বাড়ির মোতালেব হোসেনের নেতৃত্বে এ বর্বরোচিত হামলা করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে-ই আলম রিহাত আহতদের দেখতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পাশাপাশি এ কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের প্রশাসন দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি।

কচুয়া থানার ওসি মহিউদ্দিন জানান, হামলার খবর পেয়ে আমিসহ থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অভিযুক্ত ইরানী বেগমকে থানায় নিয়ে আসি।

তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে লিটন মিয়া মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ইরানী বেগমকে জেলহাজতে প্রেরন করা হবে এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে গুলবাহার গ্রামে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থমথমে বিরাজ করছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে