পৌরসভাতেও উপদেষ্টা হতে চান এমপিরা

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২২; সময়: ৯:২৫ অপরাহ্ণ |
পৌরসভাতেও উপদেষ্টা হতে চান এমপিরা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জেলা-উপজেলার মতো পৌরসভায়ও উপদেষ্টা হতে চাইছেন সংসদ সদস্যরা। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে এমন একটি সুপারিশও করা হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, আইনে সুযোগ নেই।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির আগের বৈঠকে এই সুপারিশ এসেছিল।

কার্যপত্রে দেখা যায়, আগের বৈঠকে কমিটির সদস্য আ স ম ফিরোজ সংসদ সদস্যদের পৌরসভার উপদেষ্টা করার প্রসঙ্গটি তোলেন। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেছিলেন, জেলা/উপজেলা পরিষদে উপদেষ্টা হিসেবে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা থাকলেও পৌরসভার ক্ষেত্রে সেটা নেই।

না থাকার বিষয়ে তিনি জানতে চান ওই বৈঠকে। পরে তিনি সংসদ সদস্যদের পৌরসভায় উপদেষ্টা করার প্রস্তাব তোলেন। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন কমিটির সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ। পরে এই বিষয়টি বৈঠকের সুপারিশ আকারে আসে।

সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারের বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সংশোধিত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এ পৌরসভায় সংসদ সদস্যদেরকে উপদেষ্টা করার বিষয়ে কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সুপারিশ করেছিলাম। তারা আইনের কথা বলেছে। এটা করতে পারলে ভালো হত। চাইলে প্রশাসনিক আদেশেও করা যায়।”

এদিকে, ওই বৈঠকে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভূমি হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আর ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এক্ষেত্রে ভূমি প্রশাসনের সাথে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হচ্ছে। পরে তিনি ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনার পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এই সুপারিশের জবাবে বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভূমি রেজিস্ট্রেশন বিষয়টি আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং এসিল্যান্ড অফিসের সাথে ই-রেজিস্ট্রেশন ও এলএএন আরো জোরদার করা হবে।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি বালু মহাল ও জলমহালের সীমানা এবং বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করে।

ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও পনির উদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে