উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নদীর তীরবর্তী মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তিস্তার তীরবর্তী মানুষের মধ্যে।
গত কয়েক বছরে গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে মূল প্রবাহের সঙ্গে কয়েকটি নতুন প্রবাহ সৃষ্টি হওয়ায় চরবাসী আতঙ্কে দিন পার করছে। চরে আবাদ করা ধান, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকরা।
শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের একটি চিঠির মাধ্যমে জানা যায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, যমুনাসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে এখনই তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। শনিবার সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
চর শঙ্করদহের কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থাকি থামি থামি পড়তোছে। চরের জমিত ভুট্টা লাগাইছিলাম। বন্যার কতা শুনি অ্যালা ভুট্টাগুলো তুলি নেওছি। গতবার বন্যাত মোর ঘরবাড়ি ভাঙ্গি গেইছে। হাঁস-মুরগি পানি ভাসি গেইছিল। বন্যায় আসলে ম্যালা সমস্যাত পড়া নাগে।’
জয়রাম ওঝার কৃষানি আমেনা বেগম বলেন, ‘হামরা প্রতিবার তিস্তা নদীত বাঁধ চাইতোছি। কিন্তু সরকার বন্যা আসলে পানিত বালুর বস্তা ফেলায়। এরপরও হামার ঘরবাড়ি পানিত ভাঙ্গি যায়।’
গঙ্গাচড়া লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, বন্যার তথ্যটি ওয়ার্ড মেম্বারদের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রয়োজনে মাইকিং করা হবে। চরের কৃষকদের ফসল ঘরে তুলে নিতে বলা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বন্যা হতে পারে- এমন পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। সেই তথ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিস্তার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।