বাগমারায় তদন্তে সময় দাদন কারবারিদের হামলার মামলা নেয়নি পুলিশ

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২; সময়: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় তদন্তে সময় দাদন কারবারিদের হামলার মামলা নেয়নি পুলিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় আক্কেলপুর গ্রামে পুলিশের তদন্তে দাদন ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। হামলার ঘটনায় পাঁচজন আহত ও দুই পুলিশ সদস্য হেনেস্তার শিকার হয়েছিল। পুলিশ কৌশলে হেনেস্তার ঘটনা এড়িয়ে গেলেও মামলা নিতে গুড়িমুশি শুরু করেছে।

জানা যায়, উপজেলার আক্কেলপুর, দক্ষিন দৌলতপুর ও গনিপুর গ্রামে নিবন্ধনহীন কিছু সমিতি গঠন করে এলাকার একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ওই সমিতিতে বিনিয়োগ করেন এবং এলাকার অসহায় ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে চড়া সুদে ঋণ দেন।

ঋণ দেয়ার সময় তারা ওই সকল ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ও বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরকৃত একাধিক চেক নেন। টাকা পরিশোধের পর তারা তাদের ষ্ট্যাম্প ও চেক ফেরৎ চাইলে তারা নানা ভাবে কালক্ষেপন শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে ষ্ট্যাম্প ও চেক ফেরৎ না দিয়ে আরো টাকা নেয়ার জন্য চাপ দিতে দেয়।

এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমিতির ঋণ গ্রহিতা গনিপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবক বাদী আক্কেলপুর, দক্ষিন দৌলতপুর ও গনিপুর গ্রামের ১৭ টি অবৈধ সমিতির বিরুদ্ধে গত ২ জুন বাগমারায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ষ্ট্যাম্প, চেকের পাতাসহ একজনকে গ্রেফতার করে।

ওই ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়। মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার দাদন ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে গত( ৯ জুন) বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

দাদন ব্যবসায়ীদের অভিযোগের তদন্ত করতে গত (১০ জুন) শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবতি বাগমারার আক্কেলপুরে আসেন। ওই সময় মামলার বাদীসহ ভুক্তভোগীদের ঘটনাস্থলে আসতে বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবতি। অভিযোগকারীরা ঘটনাস্থলে আসলেই অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

দাদন ব্যবসায়ীদের হামলায় অভিযোগীকারী, ভুক্তভোগীসহ পাঁচজন এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়। এছাড়াও দুলাল হোসেন নামের এক ভুক্তভোগীর মটরসাইকেল ভাংচুর করে দাদন ব্যবসায়ীরা। আহতদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাককে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পরেই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে