উঁকি মেরে প্রতিবেশি স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখাই তার নেশা

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২; সময়: ২:৪৬ অপরাহ্ণ |
উঁকি মেরে প্রতিবেশি স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখাই তার নেশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্রামানিকের ছেলে আবু সাঈদ। গ্রামের অল্প বয়সী নারীদের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম সে।

প্রতিবেশিদের স্ত্রী -সন্তান, চাচী, খালা, অল্প বয়সী নারী কেউ রেহাই পায়না তার কুনজর থেকে। লোকলজ্জার ভয়ে অধিকাংশ মহিলারা এতদিন মুখ না খুললেও আবু সাঈদের উত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবেশি এক গৃহবধূর থানায় এজাহার দায়েরের পর থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে আবু সাঈদের কুকির্তির চঞ্চল্যকর ফিরিস্তি।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর দেবর মালেক প্রামানিক, গ্রাম প্রধান নুরুল ইসলাম ফারাজি, আব্দুল আজিজ সহ মাদলা গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ সাংবাদিকদের জানান, ‘ লম্পট আবু সাঈদের প্রধান নেশাই হচ্ছে গভীর রাতে প্রতিবেশির ঘরে উকি মেরে স্বামী স্ত্রীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখা। রাত হলেই চুপিচুপি গিয়ে দরজা, জানালা দিয়ে উকি মারে অথবা টিনের বেড়া ফুটো করে চোখ লাগিয়ে ভিতরের দৃশ্য দেখে।

এছাড়া লম্পট সাঈদ গ্রামের অল্প বয়সী নারীদের বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দেয় এবং তার যৌন কামনা চরিতার্থ করতে সুযোগ বুঝে যাকে তাকে ঝাপটে ধরে। এমনকি তার বিকৃত কামনা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন চাচীও বলে জানান একজন গ্রাম প্রধান। এ বিষয়ে তাকে এলাকার প্রধানরা বিভিন্ন সময় শালিস করে কয়েক দফা শাসন করলেও সে নিজেকে না শুধরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা মধ্যপাড়া গ্রামের সোবাহান প্রামাণিকের স্ত্রী রত্না খাতুনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছে প্রতিবেশি লম্পট আবু সাঈদ (৫৩)। বিষয়টি রত্না খাতুন তার স্বামী ও শাশুড়ীকে জানালে তারা আবু সাঈদের পরিবারকে অবগত করলে সাঈদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ৫ জুলাই রাতে রত্না খাতুন বাড়ির টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আবু সাঈদ পিছন থেকে ঝাপটে ধরে। পরে গৃহবধূ রত্না খাতুনের চিৎকার করলে স্বামী, শশুর-শাশুরি ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আবু সাঈদ দ্রুত পালিয়ে যায়।

এরপর গ্রাম্য প্রধানদের কাছে বিচার চাইলে তারা আবু সাঈদের বিচার দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ভুক্তভোগী রত্না খাতুন মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে শাহজাদপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমনি সবাই অপপ্রচার করছে। আমি এ ধরনের কাজ করিনি।’

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার এসআই আনিসুর রহমান বলেন, ‘ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ রত্না খাতুন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে