অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তার বাড়ি ঘেরাও

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২; সময়: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ |
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তার বাড়ি ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : গ্রাহকদের মেয়াদোত্তীর্ণ পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সিরাজগঞ্জ জেলা কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনের বাড়ি ঘেরাও করেছে ভূক্তুভোগী সদস্যরা।

বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া গ্রামে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনের বাড়িতে অর্ধশত গ্রাহক বাড়ী-ঘর, ঘেরাও করে রাখেন। গ্রাহকের উত্তেজনা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়েনর খালিশাকুড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী ফুলমালা বেগম বলেন, ২০০৭ সালে আমি ফরিদা ইয়াসমিনের কথায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বীমা করি। প্রতিমাসে ২১০ টাকা করে জমা দেই। ১২ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও আরো দীর্ঘ চার বছর পার হলেও টাকা দিতে তাল বাহানা করছে। তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে এবং টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

একই গ্রামের খাইরুল কবির বলেন, আমি প্রতি মাসে ২১০ টাকা করে ১২ বছর মেয়াদী বীমা করি। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও দীর্ঘ চার বছর চলে যাচ্ছে এখনো আমাদের টাকা দিতে গড়িমসি করছে। পরে রাজশাহীতে যোগাযোগ করলে রাজশাহী থেকে আমাদের জানানো হয় আমাদের এই বইয়ের একাউন্টে জমাকৃত টাকা একাউন্টে জমা হয়নি। আপনারা যার কাছে টাকা দিয়েছেন তার কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে নিন।

সিরাজগঞ্জ খোকশাবাড়ী ইউন্যিয়নের খালিশাকুড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন আমার স্বামী দিন এনে দিন খায় অনেক কষ্ট করে ১২ বছর মেয়াদী প্রতিমাসে ২১০ টাকা করে বীমা করেছি। বর্তমানে আমার বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও মাসের-পর-মাস টাকা দিবে দিবে করে দিচ্ছে না। টাকা চাইলে আরো উল্টা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে আমি ফরিদা ইয়াসমিনের বিচার চাই।

সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুলফিকার হাসান খান বলেন, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন আমাদের গ্রামের লোক নয় নতুন এসে এখানে বাড়ি করেছে তবুও ফরিদার ইয়াসমিনের বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। গিয়ে দেখি গ্রাহকরা বাড়ি ঘেরাও করেছে পরে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ পরিবেশ শান্ত করে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই সেলিম মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি অনেক গ্রাহক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে গ্রাহক এবং ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সাথে আলাপ-আলোচনা করে ২ মাসের সময় দেওয়া হয় টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। টাকা ফেরত দুই মাসের মধ্যে না দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিরাজগঞ্জ জেলা কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক ও গ্রাহকের উপস্থিতি টের পেয়ে বড়ি থেকে সটকে পড়েন এবং মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করণীয় নেই এটি অফিসের ব্যাপার টাকা-পয়সা অফিস থেকে নিতে হবে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুই মাসের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে