কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার’

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২; সময়: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ |
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কীয় সকল কার্যক্রমের সমন্বয়সাধন, দক্ষতার পারস্পারিক স্বীকৃতি, অভিন্ন প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও সনদায়ন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে কাজ করছে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের আহ্বানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রতিবছর ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের যুব সমাজই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রধান কারিগর। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমেই আমাদের যুব সমাজের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে তাদের সচেতন করা, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করা ও কর্মসংস্থানের পথ নির্দেশনা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- এই আমার প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুবসমাজের আইকন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে- যুবরাই জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। শুধু তাই নয়- তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় এবং সৃজনশীল। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যুবসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি।

পরবর্তীতে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং কৃষিভিত্তিক বহুমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আর এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বিদ্যমান জনশক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বহুমুখী শ্রমের চাহিদাপূরণ করা, প্রযুক্তির পরিবর্তনে কর্ম-সংকোচনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পুনঃপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মপোযোগী এবং পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সংখ্যক দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। দক্ষতার মান উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগীকরণ, অভিন্ন সনদায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং সামাজিক মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত করা হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সহযোগিতা নিয়ে সময়োপযোগী একটি দক্ষতা উন্নয়ন ইকো-সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে