অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২; সময়: ১০:২৪ অপরাহ্ণ |
অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের রমরমা ব্যবসা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা। এর সংখ্যা ৬০০’র বেশি।

সংশ্লিষ্টার বলছেন, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ বন্ধ না করার কারণে খোলা বাজারে ইচ্ছে মতো ডলারের দাম নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের বাজার সহনশীল করতে সাম্প্রতিক সময়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার সুফল অবৈধ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত মিলবে না। একই সঙ্গে কারসাজিতে জড়িত ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার শপিং মলের নিচ তলায় তিনটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে বৈদেশিক মুদ্রা বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। কিন্তু বছরের পর বছর ব্যবসা করা এই তিন প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্স নেই। এমনকি তারা বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নথিভুক্ত নয়।

এদিকে, খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১২ টাকা পর্যন্ত উঠলে তার কারণ খুঁজতে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অভিযান থেকে বাঁচতে আগে ভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান তিনটি। কিন্তু খোলা জায়গায় ঠিকই চলছে ডলার বেচা-কেনা।

মানি এক্সচেঞ্জের বৈধ ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীতে লাইসেন্স এমন বিহীন ভুয়া মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা ৬০০’র বেশি। যেখানে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান মাত্র ২৩৫টি । এর মধ্যে ৬৮টি ঢাকার বাইরে। নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণেও অস্থির হচ্ছে মুদ্রার বাজার।

মানি চেঞ্জার্স অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একেএম ইসমাইল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কিছু ব্যাংকও জড়িত। তাই এদের শাস্তির আওতায় আনা না গেলে ডলারের বাজার সহনীয় হবে না। একই সঙ্গে আন্ত:ব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থাকেও সচল করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে