বাগমারায় জোরপূর্বক জমি রেজিষ্ট্রি করতে এসে দলিল লেখক সমিতির হস্তক্ষেপে রক্ষা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২২; সময়: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় জোরপূর্বক জমি রেজিষ্ট্রি করতে এসে দলিল লেখক সমিতির হস্তক্ষেপে রক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় দলিল লেখক সমিতির হস্তক্ষেপে জাকিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ১২ বিঘা জমি রক্ষা পেয়েছে। দুই দিন যাবত ঘরে আটকে রেখে ভিকটিম জাকিরুল ইসলামের ওপর নির্যাতন চালায় তার তিন সৎ ভাই। পিতার দেয়া জাকিরুলের নামে রেজিষ্ট্রি করা জমি জোরপূর্বক তিন ভাই নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রি করতে এসে দলিল লেখক সমিতির হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে যায়।

জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামের জনৈক লছির উদ্দিন ৬ বছর আগে তার নামীয় ১২ বিঘা জমি দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ছেলে জাকিরুল ইসলাম এর নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে গোপন থাকলেও কয়েকদিন আগে তার অন্যান্য ভাই জানতে পারে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত দুই দিন ধরে জাকিরুল কে ঘরে আটকে রেখে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাচন ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে জাকিরুলের স্ত্রী নির্যাতনের বিষয় জানতে পেরে স্বামীকে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এরপর থানা পুলিশ বিষয়টি মিমাংসার জন্য হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আফজাল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান কে সঙ্গে নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে জাকিরুল কে তার ১২ বিঘা জমির মধ্যে ৮বিঘা জমি অপর তিন ভাইয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে জাকিরুল ইসলাম আপত্তি জানালেও কোন লাভ হয়নি। বুধবার (২৪আগষ্ট) দুইজন গ্রাম পুলিশসহ ভিকটিম কে তার তিন ভাই নিয়ে আসে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে।

সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আসার পর এক পর্যায়ে ভিকটিম জাকিরুল ইসলাম গোপনে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক শামীম মীর এর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার বর্ননা দিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধের জন্য মৌখিক ভাবে আবেদন জানায়। তার মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ভাবে জমি রেজিষ্ট্রি স্থগিত করে দেয় তারা। উক্ত ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম ও বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম এবং বাগমারা প্রেসক্লাব কে জোরপূর্বক জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক শামীম মীর বলেন, জমি মালিকের মৌখিক অভিযোগ পাওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে ওই জমি রেজিষ্ট্রি স্থগিত করা হয়। পরে তাদের উভয় পক্ষ কে পুলিশ নিয়ে যায়। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত ওই বিষয়ে মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষ কে নিয়ে থানায় বসা হয়েছে, প্রকৃত ঘঠনা উৎঘাটনে আলোচনা চলছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে