ফিরো হেসে বিজয়িনীর বেশে
হৃদয়ের তন্ত্রী যায় ছিঁড়ে যায়
মায়ের বিদায় ক্ষণে!
অতি কষ্টে আষ্টেপৃষ্টে
হৃদয়কে বাঁধি নিয়ন্ত্রণে!
কবিকুঞ্জের পরতে পরতে
বিষাদের কালো ছায়া!
ছন্দপতনে নীরব স্থবির
মায়ায় নিঃশেষ কায়া!
জ্যোতি জৌলুশ তিরোহিত,
নিঃশেষিত দেহের রক্তরস!
পাখপাখালীও মৌন মলিন
সময়ও বিবাদী বিরস!
ফুলের ঘ্রাণ পত্রপল্লব ম্লান,
বিমর্ষ দূর আকাশের তারা!
ভাদ্রের রাতে বিগলিত মেঘ
কেঁদে কেঁদে ঝরে সারা!
চোখ ঠিকরে অশ্রু আসছে
অবরুদ্ধ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!
শতভাবে অনবদমিত মনে
আবেগ রুখে করি সংবরণ!
সুকন্যা বনেছে মমতাময়ী মা,
আজ মস্কোভা পাড়ের শশী;
বাবা হয়েছে অবুঝ খোকা,
অশ্রুতরীতে চলেছে ভাসি!
তূর্ণা মা মনি, মা আমার;
ডিঙ্গাও শত বিঘ্নতার পাহাড়
হাসির আঁড়ালে দুঃখ ঢেকে
এগিয়ে চলো সন্মুখে হেসে!
জয়মাল্য গলায় ধরে
মানুষ হয়ে ফিরে এসো তুমি
এই বাংলায় বিজয়িনীর বেশে!
কবিতা: ফিরো হেসে বিজয়িনীর বেশে
কাব্যগ্রন্থ : বাঁশীওয়ালা
লেখক: এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ ভবন, উত্তরখান, ঢাকা।