রাবি ক্যাম্পাসে সংসার পেতেছে দুর্লভ বামুন শালিক

প্রকাশিত: ২৬-০৯-২০২২, সময়: ০৯:৫৮ |

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসে খোঁজ মিলেছে দেশের অতিবিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বামুন শালিকের। পাখির অঘোষিত অভয়ারণ্য হিসাবে খ্যাত মতিহারের সবুজ এ ক্যাম্পাসে সংসার পেতেছে দুর্লভ প্রজাতির এ পাখি।

গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় ১১ প্রজাতির শালিকের বিচরণ সংরক্ষণ (রেকর্ড) করা হয়েছে। আমাদের চারপাশে যে শালিক সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এর নাম ভাতশালিক। আর যেটি সবচেয়ে কম দেখা যায় বা অনেক ক্ষেত্রে দেখাই যায় না, তার নাম বামন শালিক। পাখির রাজ্যে খাটো বা বেঁটে আকৃতির এ পাখিকে বামুন হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এদের কেউ কেউ ‘বামুনি কাঠশালিক’ বলেও উল্লেখ করেন। পরিচিতি আছে ‘শঙ্খশালিক’ নামেও।

পাখি গবেষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জামান মো. সালেহ রেজা বলেন, বামুন শালিক এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখন আর চোখেই পড়ে না। আমাদের রাবি ক্যাম্পাসে এ প্রজাতির পাখির বসবাস রয়েছে। এ পাখিটি বাংলাদেশের আর কোথাও সেভাবে দেখা যায় না। ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার, কেন্দ্রীয় মসজিদ, স্টেডিয়ামের আশপাশসহ প্রায় সব জায়গায় এরা চোখে পড়ে।

এদের দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার। ওজন হয়ে থাকে গড়ে ৪০ গ্রাম। কপাল থেকে মাথা হয়ে গলা পর্যন্ত কালো, যা ঝুঁটিতে রূপ নেয়। পুরুষপাখির মাথার ঝুঁটি ঘাড়ের পেছনে ঝুলে থাকে। শরীরের পালক ফোলালে ঝুঁটিটি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। চোখের নিচ থেকে ঘাড়ের পাশ এবং থুতনি থেকে সম্পূর্ণ নিচের অংশ লালচে-কমলা। প্রজনন মৌসুমে পুরুষপাখিদের মধ্যে এ রঙ বেশি গাঢ় দেখায়। দেহের ওপরের দিকটা সম্পূর্ণ ধূসরাভ। কালচে লেজের সম্মুখভাগ সাদা বর্ণ এবং চোখের পেছনের চামড়া নীল রঙের। পা, পায়ের পাতা ও নখ হলুদ। পুরুষ ও স্ত্রীপাখির চেহারা অভিন্ন।

তবে বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুধাবন করেছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কথা বলেছি পাখি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ ক্যাম্পাসের আরও কয়েকটি অঞ্চলকে পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। সূত্র-যুগান্তর

উপরে